চমেক হাসপাতালে ৫টি আইসিইউ শয্যা যুক্ত হবে ঈদের পর: হাসপাতালের পরিচালক
নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা চিকিৎসায় নগরীতে চালু হলো আরো দুই হাসপাতাল। ২০০ শয্যার এই দুই হাসপাতালের একটি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও অপরটি জেনারেল হাসপাতালের কভিড ইউনিট-২ নামে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার এই দুই হাসপাতাল রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে।
এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কভিড ইউনিটে শুক্রবার থেকে রোগী নেয়া হবে উল্লেখ করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমরা ১০০ শয্যাকে দুই ভাগে ভাগ করেছি। এরমধ্যে ৫০টি করোনার জন্য নির্ধারিত ও বাকি ৫০টি করোনা লক্ষণ রোগীর জন্য। যেহেতু আমাদের এখানে সব ধরনের রোগী আসবে তাই পরীক্ষায় নিশ্চিত হলে আমরা সেসব রোগীকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করাবো। আর যারা সন্দেহভাজন হিসেবে থাকবে তাদেরকে পৃথক রাখবো।’
কবে থেকে রোগী ভর্তি করানো হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রোগী তো আমাদের ইতিমধ্যে রয়েছে। তারপরও নির্ধারিত ওয়ার্ডে শুক্রবার থেকে রোগী স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু করবো। এছাড়া করোনা শনাক্ত হওয়া রোগীদেরও ভর্তি করানো হবে।
আপনার এই ১০০ শয্যার মধ্যে তো আইসিইউ সুবিধা নেই, তাই মুমুর্ষ রোগীদের জন্য কি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদের পর আমরা পাঁচটি আইসিইউ চালুর ব্যবস্থা করছি। আশা করছি তা করা যাবে।
অপরদিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের অধীনে হলিক্রিসেন্ট হাসপাতাল কোভিড ইউনিট-২ নামে বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রামে করোনা বিষয়ক কমিটির প্রধান আ জ ম নাছির উদ্দীন দুই হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। হলিক্রিসেন্ট হাসপাতালে ইতিমধ্যে একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে চিকিৎসকও পদায়ন করা হয়েছে। এই হাসপাতালে সহকারী পরিচালক পদে দুই জনকে পদায়ন করা হয়েছে বলে জানান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির। এই হাসপাতালে ৮০টি সাধারণ শয্যা এবং ২০টি আইসিইউ-এইচডিও শয্যা রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রাথমিকভাবে এরমধ্যে ৪২ শয্যার আইসোলেশন শয্যা, ১০ শয্যার আইসিইউ ও ১০ শয্যার এইচডিইউ’তে আপাতত রোগী ভর্তি হবে। পর্যায়ক্রমে অপর ৩৮ শয্যা প্রস্তুত করা হবে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার হাসপাতাল দুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. এস এম হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, বিএমএ সভাপতি প্রফেসর ডা. মুজিবুল হক খান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগী। বুধবার একদিনে ২৬০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। কিন্তু করোনা চিকিৎসায় থাকা তিন হাসপাতাল (জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি ও ফিল্ড হাসপাতালে) ১৯০টি শয্যা রয়েছে। এসব শয্যার সবগুলো পরিপূর্ণ। তাই নতুন হাসপাতাল ছাড়া কোনো গতি ছিল না। অবশেষে এই দুই হাসপাতাল চালু হলো।