সুপ্রভাত ডেস্ক »
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১২ জন মারা গেছেন। যা গত ২০৪ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৭ হাজার ৬৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে একই সময়ে ২২ হাজার ৩২১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৬৩ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৬০ হাজার ৮১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১২ জনের মধ্যে ৬ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী।
একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ৫ জন ও ঢাকা বিভাগে ৪ জন করোনায় মারা গেছেন। এ ছাড়া, খুলনা বিভাগে ২ জন ও রাজশাহী বিভাগে ১ জন মারা গেছেন।
গতকাল দেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে ২১ জন মারা গিয়েছিলেন এবং শনাক্তের হার ছিল ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা হাজারের নিচে নেমেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা শনাক্তের হার কমতে শুরু করেছিল। সে সময় করোনা শনাক্তের গড় হার ছিল ১৫ শতাংশ। এরপরের সপ্তাহগুলোতে শনাক্ত কমে গড়ে ১২ শতাংশ হয়।
গত বছর অক্টোবরেও শনাক্তের হার গড়ে ১২ এর কাছাকাছি ছিল। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল গড়ে ১ হাজার ৩৩৬ জন। চলতি বছর অক্টোবরের প্রথম ৬ দিনে শনাক্তের হার গড়ে ৩ শতাংশ। অন্যদিকে, দৈনিক আক্রান্তের হার গড়ে ৭০৭ জন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের কারণে গত দুইমাস টানা শতাধিক মৃত্যু হলেও গত মাসের শুরু থেকে তা কমেছে। একই সময়ে সংক্রমণ কমে ৫ শতাংশের নিচে আসায় এ পরিস্থিতিকে ‘স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ’ বলছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর।
বিগত কয়েক সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য হারে কমতে কমতে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৩২১টি কোভিড পরীক্ষার বিপরীতে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে শতকরা ২ দশমিক ৯৭ জনের মধ্যে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট-আইইডিসিআর এর মতে, কোনো এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের বেশি হলে সেটিকে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’, ৫-১০ শতাংশের মধ্যে হলে ‘মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৫ শতাংশের নিচে হলে ‘স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।