নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন আরো এক চিকিৎসক। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রসুতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগের রেজিস্ট্রার সুলতানা লতিফা আইরিন (৩৪) মঙ্গলবার দুপুর পৌনে দুইটায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পাঁচদিন ধরে তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এনিয়ে চট্টগ্রামে ১১ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো।
জানা যায়, ডা. আইরিন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রামের সাংগঠনিক সম্পাদক মইজ্জুল আকবরের স্ত্রী। এই দম্পতির একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ার পর ডা. আইরিন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থা গুরুতর হলে গত শুক্রবার তাঁকে চমেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
মা ও শিশু হাসপাতালের কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম আজাদ বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ডা. আইরিন খুব ভালো একজন চিকিৎসক ছিলেন। তিনি গত কয়েকমাস ধরে ছুটিতে ছিলেন।’
মাত্র ৩৪ বয়সে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া প্রসঙ্গে বিএমএ চট্টগ্রামের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, ‘গত ২৮ জুন নমুনা দেয়ার পর ২৯ জুন করোনা পজিটিভ পান। তারপর থেকে তিনি বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরবর্তীতে ডায়রিয়া হওয়ায় মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হয়েছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন শুক্রবার। কিন্তু ফুসফুস বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আর পেরে উঠেনি। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি মারা যান। এনিয়ে চট্টগ্রামে ১১ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হলো।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে প্রায় তিনশ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের মৃত্যুর হারও বেশি। তবে এতো কম বয়সে কোনো চিকিৎসক মারা যাননি।
এ মুহূর্তের সংবাদ