জেলা প্রশাসনের অভিযান
নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিসত্মার ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে চট্টগ্রামে। এর সঙ্গে বাড়ছে করোনায় আক্রানত্ম হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা। চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হচ্ছে অনেকের। এসবমধ্যে সরকরি আইন ও বিধিনিষেধ না মেনে বিলাসবহুল প্রাইভেটকার, মার্সিডিজ বেঞ্জ, হোন্ডা ভিজেল, পাজেরো গাড়িতে সপরিবারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। এতে আবার একশ্রেণির বখাটে মেতেছে ভয়াল বাইক স্ট্যান্টবাজিতে।
শুক্রবার বিকেলের দিকে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে জেলা প্রশাসন, নগর পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশের যৌথ অভিযান চলাকালে এমন চিত্র দেখা যায়। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেছেন।
অভিযান সংশিস্নষ্টরা সুপ্রভাতকে বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও বিসত্মারের শুরম্নর পর থেকৈই নগর পুলিশ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ নগরের সব বিনোদন কেন্দ্রে জনসমাগম নিষিদ্ধ করে। সাধারণ ছুটি শেষ হলেও সেই নির্দেশিকায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। কিন’ এমন বিপজ্জনক সময়েও মানুষ সে নিয়ম মানছে না। তারা ভিড় করেছিলেন সৈকতে, যেখানে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম সুপ্রভাতকে বলেস, করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ জটিল অবস্থার মধ্যেও নগরীর পতেঙ্গা-হালিশহর মেরিন ড্রাইভ সড়কের সমুদ্র তীরে গতকাল প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। এসময় অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরম্নষ, শিশু-কিশোর-তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী এমনকি শিশু ও বৃদ্ধ সব বয়সী লোকজনের সমাগম। যেন দেশে করোনা বলে কিছু নেই। সমুদ্র সৈকতে ক্রিকেট, ফুটবল-ও খেলছিল অসচেতন কিশোর-তরম্নণরা। পরিসি’তি এমন ছিল প্রচুর লোক সমাগম থাকায় সময় ও পরিস্থিতি বিবেচনায় মোবাইল কোর্টে জরিমানা করাও সম্ভব হয়নি। পরে প্রায় ৩০ মিনিটের অভিযানে পতেঙ্গা সৈকত ও মেরিন ড্রাইভ সড়ক থেকে দর্শনার্থীদের সড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম আরো বলেন, ‘মার্সিডিজ বেঞ্জ নিয়ে ঘুরতে আসা একটি পরিবারের লোকজনকে সমুদ্র সৈকত এলাকা ত্যাগ করতে বললে তারা পুলিশের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। আমরা মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি ও মালিকের বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধান করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।