করোনার নতুন সংক্রমণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময় বলে মত প্রকাশ করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী মহানগর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মাঝে মাস্ক এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণের মধ্য দিয়ে করোনা সচেতনতায় মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনকালে উপরের মত প্রকাশ করেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানরা লকডাউনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে অধিক সংখ্যক জনসংখ্যার বসবাস। দেশের বেশিরভাগ মানুষই শ্রমজীবি এবং কর্মজীবি। লকডাউন দিলে স্বাভাবিকভাবে কষ্টে পড়ে যান নি¤œ আয়ের মানুষজন। তাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জীবন ও জীবিকাকে সমুন্নত রেখে করোনা মোকাবেলা করতে হবে। ইতিপূর্বে সরকারের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে যা সারা পৃথিবীতে প্রশংসনীয় হয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রয়োজনীয় টিকা সংগ্রহ করেছে এবং যেভাবে এখনো সফলভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা বিশে^ বিরল বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন করোনার ধাক্কায় যেভাবে সারা বিশে^র অর্থনৈতিক অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে তার বিপরীতে বাংলাদেশের অর্থনীতির যে গতি তা ধরে রাখতে হলে অবশ্যই করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমাতে হবে। আমরা আর ঘরে কান্নার রোল শুনতে চাই না। হাসপাতালের করিডোরে প্রিয়জনের লাশের ছবি দেখতে চাই না। এজন্য সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করে সুজন বলেন শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে থাকলে হবে না।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে কর্মদক্ষতা দিয়ে দেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে রাতদিন পরিশ্রম করছেন ঠিক সেভাবে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হলে আমাদেরকেও যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিছুটা সচেতন হতে হবে। নিজে মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং অন্যকে মাস্ক পরিধান করতে উৎসাহিত করতে হবে তবেই দেশ করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির হাত থেকে মুক্তি পাবে। সুজন কালবিলম্ব না করে এখনই অফিস, আদালত, শপিংমল, হাট-বাজার, বিনোদন কেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণপরিবহনসহ সকল জনসমাগম স্থানে মাস্ক পরিধান করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী, স্টেশন মাস্টার জাফর আলম, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, আব্দুর রহমান মিয়া, সংগঠক রুহুল আমিন তপন, সাইদুর রহমান চৌধুরী, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক পরিষদ কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, সহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রকিবুল আলম সাজ্জী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আশরফ আলী,খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য পার্থ প্রতিম নাহা রনি, চীফ ইন্সপেক্টর সালামত উল্লাহ, জিআরপির সেকেন্ড অফিসার সোহরাব হোসেন, হেড টিকেট কালেক্টর তানভীর আহমেদ মিশুক, সাবেক মাস্টার মাহাবুবুর রহমান খাঁন, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ নেতা নবীদুল ইসলাম ফারুকী, তানভীর আহমেদ মিশুক, শাহাদাত হোসেন শান্ত, আতিকুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মনিরুল হক মুন্না, সদরঘাট থানা ছাত্রলীগ যুগ্ম আহবায়ক রাশেদুল ইসলাম বাবু, দীপেন দাশ রৌমেন, মোহাম্মদ রুবেল, আনাস মিয়া, মো. ইমতিয়াজ, আলী নেওয়াজ রাকিব, মো. সাইমন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি