সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
আইসিসি ক্রিকেট কমিটি আগেই বলে লালা ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে দিয়েছে। এবার করোনা পরবর্তী যুগে ক্রিকেট শুরুর সময় নিরাপত্তাজনিত কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তারও একটা গাইডলাইন শুক্রবার দিয়ে দেওয়া হল আইসিসি-র পক্ষ থেকে।
ফুটবলে যেমন বলে দেওয়া হয়েছে, ফুটবলারদের মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাঠে থুতু ফেলা যাবে না। ক্রিকেটে সে রকম বেশ কিছু নতুন বিষয় আসতে চলেছে। যেমন আম্পায়ারদের গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে সব সময় ১.৫ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। নিজেদের ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম স্যানিটাইজ করতে হবে। এরকম আরও অনেক রকমের গাইডলাইন এ দিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইসিসির মেডিক্যাল অ্যাডভাইজরি কমিটি পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করে আইসিসির ডাক্তারি ব্যাপার-স্যাপারের দায়িত্বে থাকা টিমের সঙ্গে। তারপরই ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে একটা গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে।
বলা হয়েছে, ম্যাচের আগে আইসোলেশন ক্যাম্পে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যপরীক্ষা করতে হবে ক্রিকেটারদের। শরীরের তাপমাত্রা মাপতে হবে। করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এটাও বলা হয়েছে ট্রাভেল করার অন্তত ১৪ দিন আগে জানাতে হবে যে টিমের কেউ করোনা আক্রান্ত নন। এছাড়া ক্রিকেটারদের নিজেদের সমস্ত ক্রিকেটীয় সরঞ্জাম স্যানিটাইজ করতে হবে। তেমনই ওভারের মাঝে বল ধরার সময় আম্পায়ারকে গ্লাভস পরতে হবে। ক্রিকেটাররা কেউ অন্যের টুপি, তোয়ালে, জাম্পার এগুলো ধরতে পারবেন না।
বোলারদের কথা ভেবেও বেশ কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। মার্চের শেষদিক থেকে প্রায় সবাই ক্রিকেটের বাইরে। এতদিন পর ক্রিকেটে ফেরার পর বোলারদের যাতে চোট না লাগে, সেই কারণে আইসিসি বিশ্বের সমস্ত পেসারদের জন্য ফরম্যাট অনুযায়ী নির্দিষ্ট ট্রেনিং শিডিউলের সুপারিশও করেছে। টেস্টের জন্য দু’তিন মাস আগে থেকে ট্রেনিং শুরু করতে হবে। ওয়ান ডে-র জন্য ছয় সপ্তাহ। টি-টোয়েন্টির জন্যও একই, পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহ।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা