সুপ্রভাত ডেস্ক »
কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার চেয়ে পাঁচগুণ বেশি বিষাক্ত ও মৃত্যুহার খুব বেশি বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে টাইগারপাসের চসিক কনফারেন্স কক্ষে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ মন্তব্য করেন।
এ সময় চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী সব সংস্থা ও হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, এটি বেশি ছোঁয়াছে ও প্রাণঘাতী। সহজে শনাক্ত হয় না। তাই মাস্ক পরা জরুরি। রোগীর কাশি, জ্বর নাও থাকতে পারে। হাঁটু জয়েন্ট, অস্থি, পিঠ, মাথা ও গলা ব্যথা, নিউমোনিয়া থাকবে, ক্ষুধা কমে যাবে। অল্প সময়ে উপসর্গ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সরাসরি ফুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়। যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। আমাদের আতঙ্কিত হলে চলবে না। আগে যখন ২০২০ সালে করোনা দেখা দিয়েছিল তখন চিকিৎসার গাইডলাইন দিতে পারিনি। এখন অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন। আমরা আজ বসেছি, কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় আমাদের যে ঘাটতি ছিল তা দূর করা।
তিনি জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ, বিআইটিআইডি, সিভাসু ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিসিআর টেস্ট বা করোনা রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া সব হাসপাতালে তাৎক্ষণিক এন্টিজেন টেস্ট করা হবে।
মেয়র বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা অতীতে মাস্ক, কিটস, ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা করেছে। এবার জেলা প্রশাসন ও চসিকের ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশের অনেক রোগী ভারতে চিকিৎসাধীন। তাই বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে যাত্রীদের পরীক্ষা করাতে হবে।
সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কোভিড ওয়ার্ডে ১০ বেডের আইসিইউ ও ১০ বেডের এইচডিও সেটআপ আছে। ভেন্টিলেটর, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা, পালস অক্সিমিটার, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন ইত্যাদি আছে। ঈদের আগের দিন থেকে প্রস্তুতি চলছে। ৫০ জন রোগী রাখা যাবে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর সমস্যা হলে চমেকে রাখা যাবে।