নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল থেকে করোনাকে হার মানিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন আরো একজন। তার নাম রিজিয়া বেগম (৫০)। তিনি নগরীর বায়েজিদ এলাকার বাসিন্দা। আজ শুক্রবার রাত ৮ টায় তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা করে বাড়ি পাঠানো হয়।
এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগের সমন্বয়ক ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা দুইজনকে রিলিজ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুধু রিজিয়া বেগমকে রিলিজ দিয়েছি। অন্যজনের অবস্থা বিবেচনা করে কাল পরশু রিলিজ দিয়ে দিব। রিজিয়া বেগম এখন সম্পূর্ণভাবে সুস্থ। তার একটা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আমরা তাকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়েছি এবং বলেছি, ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে।’
আইসোলেশন ইউনিটের বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনতো আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই আইসোলেশন ইউনিটেও রোগীর সংখ্যা বেশি। বর্তমানে শুধু পজেটিভ রোগী আছে ৪০ জন। তারমধ্যে ২৯ জন পুরুষ ও ১৪ জন মহিলা। এছাড়া সাসপেক্ট রোগী আছে ১৮ জন। তারমধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার কারণে আমরা সিরিয়াস রোগীদের রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া অন্যান্য রোগীদের বাসায় রেখে প্রদান করছি।’
চট্টগ্রামে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৭ জন হলো। গত ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল। এরমধ্যে সাতকানিয়ার এক বৃদ্ধ একজন মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, পটিয়ায় ৬ বছরের এক শিশু মারা গেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দেড় ঘন্টার মধ্যে, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনায় শনাক্ত হয়েছেন, নিমতলা এলাকার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সরাইপাড়া লোহারপুল এলাকায় এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, সাগরিকার এক নাইটগার্ড মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন, মোহরার এক নারী মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন এবং সর্বশেষ এনায়েত বাজারের লোকটি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হলো। এছাড়া ৬ মে পাহাড়তলী লাকী হোটেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া গত ৬ মে মারা যাওয়ার পর নমুনা রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তিনজন, ৭ মে বৃহস্পতিবার সাগরিকা এলাকার এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার পর করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এনিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়ালো। এছাড়া সর্বশেষ সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৪৯ জন।