চট্টগ্রাম সিটি করপোরশেনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মানুষকে কষ্ট দিয়ে লকডাউট করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাউকে গৃহবন্দি রাখতে চান না। তাঁর এই ইচ্ছে বাস্তবায়নে চসিক প্রশাসক হিসেবে মাঠে নেমেছি। তাই মানুষ নয়, করোনাকে লকডাউন করতে চাই। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩১টি নির্দেশনা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিজের শরীর, বাড়িঘরসহ নিত্য ব্যবহারযোগ্য সকল কিছু জীবাণুমুক্ত করাসহ বাইরে চলাফেরায় মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে হবে। এভাবে করোনাকে লকডাউন করে সকলের মুক্তি ও বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে। তিনি আজ নগরীর কর্নেল হাটে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় নাগরিক সচেতনতামূলক অভিযানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মাস্ক নিজেকে পরতে হবে, অন্যকেও পরাতে ভূমিকা রাখতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ বাজারে ঢুকলে তাকে এড়িয়ে চলতে হবে। গণপরিবহনে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী তোলা যাবে না। ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এই ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সেবাদাতা ও গ্রহীতাকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় ঘটলে কেউ রেহাই পাবে না।
তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, মানুষ যদি বেপরোয়া হয় তা নিজেরাই নিজেদের দুঃখ ডেকে আনবে। কোভিড-১৯ একটি ছোঁয়াছে রোগ, একজন থেকে অন্য জনের কাছে সংক্রমিত হয়। এই সহজ কথাটা কেউ না বুঝলে একজন অসচেতন ব্যক্তি দশ জনের মহাবিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই অসচেতন ব্যক্তিকে উচিত শিক্ষা দেয়া একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা।
চসিক প্রশাসক সচেতনতামূলক প্রচার অভিযানকালে কর্নেল হাট এলাকার বহু বিপণিকন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশনা দেন তিনি। এখান থেকে তিনি উত্তর কাট্টলী বিশ্বাস পাড়া যান এবং রোডের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন। তিনি রোডের কাজ বিলম্ব হওয়ার কারণ জানতে চান এবং কাজের গতি শ্লথতায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কাজের গুণগতমান অক্ষুণœ রেখে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। ফেরার পথে তিনি চসিক মোস্তফা হাকিম হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এখানে কর্মরত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন এবং সেবাগ্রহীতাদের ভালোমন্দের খোঁজখবর নেন। তিনি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধিমালা মেনে চলার ব্যাপারে চিকিৎসাসেবা গ্রহীতাদের সচেতন থাকার আহবান জানান। এছাড়াও তিনি কাট্টলী ওয়ার্ডের নির্মিতব্য কয়েকটি নির্মাণাধীন কালভার্টের কাজ পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর প্রফেসর ড. নেছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সমাজসেবক আলী আজগর চৌধুরী, সফিউল আলম চৌধুরী, আলাউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, আবু তাহের চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমদ সাকী, মো. নুরুদ্দীন চৌধুরী, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাং ইকবাল চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মো. আবদুস সালাম, হারুনুর রশীদ, নুরুল কবির চৌধুরী, বিপ্লব দত্ত, আবু সুফিয়ান, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী ও পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা। বিজ্ঞপ্তি
এ মুহূর্তের সংবাদ