নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাকালে বন্দর ৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৭ একক কনটেইনার হ্যান্ডেলিং করেছে। পরিমাণের হিসেবে যা ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৬৪২ মেট্রিক টন পণ্য। গত ২৬ মার্চ থেকে ২০মে পর্যন্ত সময়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়।
চট্টগাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) এনামুল করিম বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে লকডাউন ও সাধারণ ছুটি থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং কাজ এক ঘণ্টার জন্যও বন্ধ ছিল না।
এই সময়ে বন্দর দিয়ে কোন ধরনের পণ্য হ্যান্ডেলিং হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৮৭ হাজার ৩৯৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ, ৮ হাজার ২৭৫ মেট্রিকটন আদা, ৬ হজার ৬৫০ টন রসুন, ২২ লাখ ৯৮ হাজার ৪২৪ টন খাদ্যদ্রব্য, রমজান উপলক্ষে আনা ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, ডাল, খেজুর প্রভৃতি হ্যান্ডেলিং করেছে ৮৬ হাজার ৯১২ মেট্রিকটন।
এদিকে গত ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং লকডাউন চালুর পরথেকে চট্টগ্রাম বন্দরে বাড়তে থাকে কনটেইনারের জট। এতে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্দরের বিগত ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম পরিমাণ পণ্য হ্যান্ডেলিং হয় এপ্রিল মাসে। তবে নৌ প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম গত এপ্রিলে ভিজিট করার পর সব ধরনের পন্য ১৯টি অফডকে রাখার নির্দেশনা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। একইসাথে কনটেইনারগুলো দ্রম্নত ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে নিতে কনটেইনার রাখার মাশুল মওকুফও করা হয় বন্দরের পক্ষ থেকে। এতে সাম্প্রতিক সময়ে গতি আসে বন্দরের কাজে। গত এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনার হ্যান্ডেলিং হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৯২১ একক কনটেইনার, মার্চে যা ছিল ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৯, ফেব্রম্নয়ারিতে ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৪০ এবং জানুয়ারিতে ছিল ২ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৯ একক কনটেইনার।