চসিকের কর আপিল বোর্ডের শুনানিতে রাজস্ব কর্মকর্তা
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার বলেন, সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি করপোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সহায়ক শক্তি হলো নগরবাসীর দেয়া কর। এই করের সিংহভাগই ব্যয় হয় নগরীর পরিচ্ছন্ন, আলোকায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামত এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে।
তিনি বলেন, কোনো হোল্ডিং মালিকের যদি কোন ব্যাংক লোন থাকে তাহলে তা হালনাগাদ ব্যাংক স্ট্রেটমেন্ট বা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি আপিল বোর্ডে জমা দিলে কর আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ছাড় দেয়া হবে। চসিক কোন কর বৃদ্ধি করে নাই, এখনো পূর্বের রেইট ও হারে পৌরকর আদায় করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিকে বিশেষ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার নগরীর উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে সম্মানিত সকল নগরবাসীকে চসিকের বকেয়া ও হালনাগাদ কর পরিশোধের আহ্বান জানান।
গতকাল রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব বিভাগের ৭ নম্বর সার্কেলের ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডস্থ মহল্লার কর পুর্নমূল্যায়নের আপিল শুনানিকালে রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার এসব কথা বলেন। এ সময় বোর্ডের সদস্য রাজনীতিক অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, আইইবি’র সম্মানী সম্পাদক প্রকৌশলী শহীদুল আলম, টিও মো. মো. জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। হোল্ডিং মালিকগণ করোনা মহামারীতে তাদের আয় উপার্জন কমে যাওয়া, ভাড়ার ঘর খালি থাকা, ব্যক্তিগত ও গৃহ নির্মাণ ঋণ থাকাকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করে কর ধার্য্যরে ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের অনুরোধ জানান। বিজ্ঞপ্তি