নিজস্ব প্রতিবেদক »
নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসে ডেঙ্গু সংক্রমণের চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে এসেছে, তবে বেড়েছে মৃত্যু।
গত অক্টোবর মাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮ শ’ ৬১ জন। নভেম্বরে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১৪২৫ জন।
চলতি বছরে অক্টোবরে পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪ জন। চলতি মাসে নভেম্বরে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
গত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। চলতি বছরে চট্টগ্রামে মোট ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু এবং আক্রান্তে এগিয়ে রয়েছে পাহাড়তলী এলাকা।
গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায় চলতি বছরে মৃত্যুবরণকারীর মধ্যে রয়েছে ৯ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা এবং ১২ শিশু। তার মধ্যে পাহাড়তলীর ৫ জন। তারা হলেন- শিউলী রানী (৪০), খুরশীদা বেগম (৭০), রুবি আক্তার (৪২) সাফিয়া বেগম (৭০) ও আবিদ (৯)।
১২ নম্বর সরাইপাড়া কাউন্সিলর মো নুরুল আমিন বলেন, শুধু আমার ওর্য়াড নয়, চট্টগ্রামে সব ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এ জন্য জনসাধারণও কম দায়ী নয়। আমরা সেসব ড্রেন পরিষ্কার করে আসি। সেখানে দেখা যায় তারা ময়লা আর্বজনা দিয়ে ভরিয়ে ফেলে। এছাড়া ছাদবাগানে টবে পানি জমা রাখে। এত মশা প্রজনন বাড়ছে। আমরা মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপশি মানুষকে সচেতন করছি। তবে মশার যে স্প্রে মারা হচ্ছে সেটাতে নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। মশা মারা যাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জনপ্রতিনিধি বলেন, আমাদের ১০ নম্বর ওর্য়াডে প্রশাসন নজর দিচ্ছে না। চসিক থেকে যে ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, সেটা আমরা এখনো দেখিনি। মশা মরাতো দূরের কথা।
কাট্টলীতে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এক পরিবারে তিন থেকে চারজন আক্রান্তের খবর আমরা পেয়েছি। আমরা প্রশাসনকে বার বার বলার পরই কোন সুরাহা হচ্ছে না। ওষুধ ছিটাতে ফগার মেশিন আসছে না। তাই আমরা একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ফগার মেশিন আনার চেষ্টা করছি। দুয়েক দিনের মধ্যে এসে যাবে।
এ প্রসঙ্গে ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী কাউন্সিলর নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন, আমাদের একটা ফগার মেশিন, তাও মাঝে মাঝে নষ্ট হয়ে যায়। একটানা চলার পর একবার ফ্ল্যাগ নষ্ট হয়ে যায়, আবার ব্যাটারি চলে যায়। আমার ওর্য়াডকে ১৫টা ভাগে ভাগ করেছি। আজ যেখানে ওষুধ ছিটানো হয়েছে, সেখানে ঠিক ১৫ দিন পর আবার ছিটানো হবে। জনগণ চাই তার এলাকায় প্রতিদিন ওষুধ ছিটানো হোক। কিন্তু একটা ফগার মেশিন দিয়ে এত বড় এলাকা কভার করা সম্ভব নয়। পুরোনো মেশিন একটানা ৭ থেকে ১০ দিন চলার পর নষ্ট হয়। ঠিক করে আনতে চলে যায় ৩ থেকে ৫ দিন। ফগার মেশিন না চললেও ওই সময়ে আমরা স্প্রে করি এবং প্রতিদিনই করে যাচ্ছি।