দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সীতাকুণ্ডে ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
নিজস্ব প্রতিবেদক :
কমছে তাপমাত্রা বাড়ছে শীত। আর এ ধারা আরো চার থেকে পাঁচ দিন থাকবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে কোনো শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার শঙ্কা না থাকলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে ১৫ ডিসেম্বর থেকে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে গতকাল দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় সীতাকু-ে। এছাড়া সন্দ¦ীপে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত দুদিন ধরে চট্টগ্রামে দুপুর ১২টার আগে সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ঘন কুয়াশার সাথে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়ার এই অবস্থা কতোদিন থাকবে জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তর পতেঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, ‘চট্টগ্রাম অঞ্চলে চলতে থাকা ঘন কুয়াশা আরো চার থেকে পাঁচদিন অব্যাহত থাকবে। আর এই কুয়াশা নদী অববাহিকা এবং পাহাড়ি উপত্যকা এলাকায় বেশি দেখা যাবে।’
শৈত্যপ্রবাহের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমুদ্র উপকূলবর্তী হওয়ায় এই অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে দেশের উতরাঞ্চলে কয়েকদিন পর থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে এবং সেখানে মৃদ্যু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, গতকাল দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা সীতাকু-ে রেকর্ড হওয়ার পাশাপাশি চট্টগ্রামে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাঙামাটিতে ১৭, ফেনীতে ১৫, কুমিল্লায় ১৬ দশমিক ৪, টেকনাফে ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে দেশের উত্তরবঙ্গের এলাকাগুলোর মধ্যে তেতুলিয়ায় ১৫ দশমিক ১, উত্তর-পশ্চিমের চুয়াডাঙ্গায় ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে তাপমাত্রা।
উল্লেখ্য, বছরের এ সময়ে তাপমাত্রা নেমে আসবে এটাই স্বাভাবিক। জানুয়ারি মাস দেশের সবচেয়ে শীতলতম মাস।