কবিতা

জনের দ্রোহ

আলী আকবর বাবুল

নদী কখনও চুপচাপ থাকে না,
আমি তার জলছাপে দেখি আমার ক্ষোভ।
প্রতিটি ঢেউ আঘাত করে পাথরে,
প্রতিটি শব্দ চুরি করে নীরবতার ঘুম।
আমি শুনি, সমগ্র জগৎ মুছে ফেলার আগুন
বিরোধের গান যা শুধু হাওয়ায় ফোটে।
ছায়ার আড়ালে দাঁড়িয়ে কাঁপে প্রতিটি লতাপাতা,
আমি দোলাখাওয়া ঢেউয়ের সঙ্গে নাচি।
প্রতিটি স্রোত আমার অন্তরের প্রতিধ্বনি,
প্রতিটি জলছাপ আগুনের পথে রঙিন।
আমি চিৎকার করি শূন্যও শোনে,
নদী আমার সঙ্গী, বিদ্রোহের সঙ্গীত বাজে,
এবং রাতের অন্ধকার আজ আমার আলো।

 

 

নিষ্কর্মা বাগান

আরজাত হোসেন

মালীর মৃত্যু হলেই মরণাপন্ন বাগান!
অতীতের রাঙা ফুল নুয়ে গেছে খুব।
যা ছিল একদিন, পাখিদের সন্ধ্যা আসর,
মৌমাছির বাসর ও প্রজাপতির নাচ
আজ নেই তা কিছুই, কিছুই নেই যেন!
মালীর মৃত্যু হলেই উদ্যানে শুনশান্।
নেই কুড়াবার যখন তখন, বিক্ষিপ্ত কুঁড়ি,
অবহেলিত বীজ এবং জরাজীর্ণ বৃক্ষ।
যে মালীর যত্নে বেড়েছে তুলসী ও নিম
মালীর শেষ বিদায়ে তাঁরা নিষ্কর্মা খুব!
যে সময় যাচ্ছে বয়ে, পথের ধুলো গায়ে,
সে পুরনো বাগান ভরেছে লতাপাতায়।
পুরনো পথিকের সত্য কথা অমর বাণী
বলেছে কৃত্রিম বাগানের চেয়ে আজ
দক্ষ মালীর বেশ প্রয়োজন, বেশ প্রয়োজন।