মেঘেরা কাঁদে
মনজুর কাদের
আত্মমগ্ন বর্ষায় তোমার জলনৃত্য দেখে :
মেঘেরা ঈশান কোণে কাঁদে
ইদানীং বৃষ্টিরা আসে—
তোমার ঐ চলে যাওয়া বনপথে;
ই-মেলে মেঘের বার্তা পাঠিয়েছি
সমুদ্রস্নানের গল্প…
স্যাঁতসেতে অভিমানগুলো ভুলে যাবো
এ বর্ষায় প্রথম জলের উষ্ণতায়
শান্তগ্রামে মেঘের মূর্খতা দেখে :
প্রবঞ্চনায় হাসো; আড়মোড়াভাঙা ঘুমে—
ঘুমকাতরতা আঁকো
বুক-পাঁজরে
দীপান্বিতা পালিত
তুই সামনে এলে বইয়ে দেব নদী
প্লাবন এসে আছড়ে পড়বে বুকে
আসিস না হয়!
এসেই দেখিস, আছি কেমন সুখে
ব্যস্ত থেকেই কাটিয়ে দিলি আয়ু
ভালোবাসার প্রলেপ কি আর বুঝিস?
ভাঙিস পাঁজর!
ভেঙেই দেখিস, আজও তোকেই খুঁজি…
মাইলস্টোন!
শ্যামল বণিক অঞ্জন
শব্দগুলো উড়ে গেছে বিষাদের কালো ছায়ায়!
থেমে গেছে কোলাহল নাগরিক ব্যস্ততা,
পাখিদের কাকলি ওড়াউড়ি!
চারিদিকে শোকের মাতম হাহাকার,
অশ্রুুধারায় প্লাবিত শ্রাবণ দুপূর।
ঝলসানো বাগান জুড়ে থরে থরে পড়ে আছে কলিগুলো
জুঁই চামেলি কদম কেয়া কিম্বা গোলাপ হয়ে আর ফোটা হলো না –
বীভৎস এক মৃত্যুদূতের কালো ঈশারায়!
হায় মাইলস্টোন!
এ যেন এক বিরানভুমি!
যেখানে লেখা হলো নির্মম শোকগাথার এক উপাখ্যান।
অমানিশার শরীর
বশির আহমেদ
গঞ্জের হাটে বিক্রি হয়ে গেছে সময়ের দর্শন। অনুভূতির
ভেজা দাগে স্পর্শ করে ব্যঙ্গোক্ত চোখ!
স্বকীয় প্রবৃত্তির গ্যাঁড়াকলে নিষ্পেষিত ফুলের সুবাস!
এপিক্যুরাসের বাস্তুবাদী সুখে ডুবে গেছে বিপ্লবের চোখ।
আমি কবি মানুষ,
গাড়ি-বাড়ির আকাঙ্ক্ষা নেই।
শুধু অমানিশার শরীর থেকে তুলে আনা ব্যথা প্রকাশের
স্বাধীনতা চাই।