বাড়ুক দেখার অসুখ
নাহিদ সরদার
কেবল সুরতে বেঁচে আছি
এ বুকে জমে আছে মৃত রোদের শোক
সরে যাও হে দুধের মাছি
এই একলা হাঁটার পথ কেবল আমার হোক।
যাও চলে খুঁজে নাও মন মতো সুখ
না আছো জেনে বাড়ুক দেখার অসুখ।
কোথায় গেল সত্য
প্রণব মজুমদার
তোমরা কী কেউ সত্যকে দেখছো?
সবুজ-লাল প্রান্তরে, জলে-স্থলে
সংসারে, সমাজে ও মানবমনে
ভালোবাসায় কিংবা মায়ায়
লোভে এবং লালসায়?
কোথায় লুকালো সত্য?
বলতে পারো নেপথ্য?
স্বার্থমোহে ‘মানুষ’ দৃশ্যমান দৃষ্টিহীন-
মূক-বধির দূরাভিসন্ধি ছকে রাতদিন
গাজায় থামে না অবুঝ শিশুর নিধন
যৌনতার জন্য বলি হয় আত্মজা!
জন্মদাত্রীর কাঁপে না একটুও হাত
তবে কী ভুল প্রাথমিক ধারাপাত?
ছেলের হাতে বাবার জীবনপাত
সত্যের মতো ইতিহাস মুছে যায়
মিথ্যাটা ক্ষণে ক্ষণে আঁধার পায়
সত্য মিথ্যা হয়ে যায় নিমিষে!
সত্যকে পাবো তাহলে কিসে?
হৃদয়ে আগুনের পাশে
অমল বড়ুয়া
ছোট ছোট প্রেম আহ্লাদে জীবনানন্দে
অনাবিল মায়ার শলমা-জরি মখমলে
কিছু দুঃখবোধ কিছু পুলক অনুভবে
অনুক্ষণ পলে পলে
পরাণের নিঃসীম গহীণে
অবারিত প্রেম আর অতল ভালোবাসায়
প্রিয় তুমি আছো হৃদয়ে আগুনের পাশে।
নক্ষত্রের আলোক ঝরণাধারার অপার্থিব অনুরণনে
অনঘ চন্দ্রপ্রভার অবদাত জোছনায়
ছুঁয়ে থেকো
রঙধনু স্বপ্ন অনিবার
যাপিত জীবনের পটলেখা
আশঁসিত পারমিতায়;
আলন্দলোকের নিরঁজন দিনগুলো
মঙ্গলালোকের অনিন্দ্য কিরণে
উদ্ভাসিত সময় ছুঁয়ে যাক আমাদের অকিঞ্চন জীবন
বিনীত বাসনা…
সুখের ফল্গুগুধারায়
প্রিয় তুমি আছো হৃদয়ে আগুনের পাশে
অনন্ত প্রেম আর অতল ভালোবাসায়!
জলভেজা নৈঃশব্দ্যের গান
রবিন ইসলাম
আকাশ আজ এক নির্বাক প্রতিমা,
নীল অন্ধকারে ঝরে তার চাপা ক্রন্দন
বৃষ্টির প্রতিটি ফোঁটায় যেন খচিত রয়েছে
অস্ফুট ব্যথার বর্ণমালা।
গাছপালার দেহে ভেজা আর্তি,
মাটির গভীরে ঢুকে পড়ে অনুচ্চারিত আরাধনা।
নদীর তীরে কুয়াশা হয়ে জেগে ওঠে স্মৃতিরা
তারা আর ফিরে আসে না, কেবল ভিজিয়ে দেয় অন্তঃস্থ দিগন্ত।
এই বর্ষা কোনো ঋতু নয়
এ এক অন্তর্লীন বিষাদ,
যার প্রতিটি কণা গহিন প্রেমের দাহনশিখা।
তোমাকে না ছুঁয়েই ছুঁয়ে থাকে যে ভালোবাসা,
সে-ই তো শ্রেষ্ঠ, নিঃশব্দ অথচ সমগ্র।