কবিতা

শূন্যতার নিনাদ

নিঃশব্দ আহামদ

দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলি, মরে যাচ্ছি-এই তো আমি মরে যাচ্ছি-অনড় পা আর এগোচ্ছে না
আষাঢ়ী জলে ভেসে যাচ্ছি-খড়কুটো, উচ্ছিষ্টের সাথে কোথাও বিলাপ নেই, আফসোস নেই-নেই না ফেরা মানুষের জন্যে যেমন কোনো বুক চাপড়ায় প্রবল হাহাকারে।
ঘরদোর, খাবারদাবার সবই ঠিকঠাক, পেয়ারা বনে জেগে আছে বিকেলের চোখ-বালিশ, বেডশিট পরিপাটি
করে শান্তির ঘুম। প্রাতরাশ শেষে ভোরের মিহি আলোয় যদি ডেকে যাচ্ছে ক্রমান্বয়ে ভেড়ার পাল, শুধু চোখে জাগেনি একটুকরো মেঘ, বৃষ্টির ছাপে।
অবাঞ্চিত, তবু যেনো ফুটছে নুন, উষ্ণতার প্রকোপ যতো
রাতের শরীর থেকে ঘেন্না সব বাড়ায় স্নায়ু যাতনা
না বোঝা মানুষে বোঝাতে নেই, দুঃখ-বলতে নেই মরে যাচ্ছি
বরং ভালো এই, খুব করে অগোচরে নিখোঁজের মতো একদিন চলে যাওয়া, দুমড়ে মুচড়ে ভাঙা বুক বিষাদের ক্ষতে।

যাই করে আর, হয় না যাওয়া
এই হাওয়া, ঠান্ডা রাত-
সাক্ষ্য রয়ে যায় শুধু, অশ্রুর দাগে
কতোটা মরে যাই আমি রোজ, নিঃসঙ্গ,শূন্যতার নিনাদে।

 

তিনটি ছোট কবিতা

আজহার মাহমুদ

এক
তোমার প্রেমে পড়ে আমি কবিতা লিখি রোজ
কবিতা লিখতে লিখতে আমি কবি হয়ে গেলাম
কিন্তু তোমার পেলাম না খোঁজ।

দুই
অন্ধকারের শেষ প্রান্তে আছে নতুন পথ,
আছে জীবনের নতুন অধ্যায়- আলো।
জীবনের একেকটা অধ্যায় একেক রকম,
কোনটা সুন্দর, কোনটা ভয়ংকর কালো।

তিন
রাত জাগা কবি আমি
আমায় তুমি রাত্রিতেই খুঁজে পাবে।
আমার লেখা কবিতাগুলো তুমি
রাতে আবৃত্তি করিও, নিশ্চিত হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।