সময়ের করিডোরে পায়চারী
সৈয়দ ইবনুজ্জামান
শূন্যতা শুনি পূরণ হয়
মনে দ্বিধা জাগে
যে ফুল তার রক্তিম আভা ছুঁয়ে যায় রঙিন ঘুড়ির বুকে
মেঘদলের ঠিকানা ভুলে ফিরে তো আসে না
বলশালী সমুদ্দুরের ঢেউ ফিরে পায় না আর
একটিবার ঝিনুকের দেখা!
শালুকের লাজুক সাজ তপ্ত রৌদ্র হরণ করে
হারানো কবিতার খাতা
প্রথম প্রেম
কিছুই ফেরে না!
ফেরে কেবল জাতিস্মর
মিলনের পর জন্ম নেয়া ভ্রুণের
সময়ের করিডোরে পায়চারী –
শোনা যায়
শোনা যায় কি?
প্রেমিকা এবং নিঃস্বরতার সমূহ বেদনা
নিঃশব্দ আহামদ
আমরা একে অপরকে লক্ষ্য করি, দ্যাখা হয় না অথচ-চুপচাপ, নিরবতায়-
প্রবল বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে হরিৎবন
আর অবিরল ধারায় ভিজছে বুক
আর এই নীরবতার ছায়ারাশিতে জাগাও প্রবোধ
আমিও বহুবার ভুলেছি পথের অভিমূখ
আষ্টেপৃষ্টে জড়ায়ে ছায়াশরীর, সে তোমার
না জানা নেই, কীভাবে যে হয় বিচ্যুত হৃদয়
আর আমি ভালোবাসি, যতোবার উচ্চারিত এ ধ্বনি
অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে নিথর দেয়াল
খেয়াল যেখানে সতত, নিঃস্বরতাও যে হয়ে উঠে অনুরাগ
আর আমার শূন্যতার আদ্যোপান্ত পাঠে তুমি হয়ে উঠো প্রেমিকা
হে আমার প্রেমিকা-ধীর এবং শান্ত হও
এবং এনো মননে আবার ফল্গুধারা
রূপরঙে ফোটাও,আননে পুষ্পরূপ
আমি শেষাবধি তোমাতেই খুঁজিবো, প্রেম আস্বাদ
মথিত হবার
দৌড়
দ্বীপ সরকার
যবনিকা বলে একটা কথা আছে
অথচ আমরা ভীষণ দৌড়োচ্ছি
বিপুল আগ্রহে ছুটছি জনপদে
অনিশ্চিত দূরের গন্তব্য আর কত দূর
হাটখোলার আকাশটা দৌড়োচ্ছে খুব
আমি সেই আকাশকে চিনি
অথচ তোমরা জানতে না
আমি একাই এক তাড়না
পথের শুরুতেই মেঘের সিঁড়ি
সিঁড়ির তাকে তাকে কুহুবন পাখি
আকাশের দিকে আমার পা যাচ্ছে
দিকবিদিক অজস্র সন্দেহের বাজার
কাউকে বিশ্বাস ছুঁড়ে দিলে ফিরে আসে ফের
যবনিকা বলে একটা কথা আছে
অথচ আমরা ভীষণ দৌড়োচ্ছি
অতঃপর উত্তাল ফেটে গেলে মৃত্যু হয়
কেউ জানে নাআর কত দৌড় বাকি