হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়
নিজস্ব প্রতিনিধি, লোহাগাড়া »
লোহাগাড়া থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. জনি খানের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আসামির ধারালো দায়ের কোপে। গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে কবির আহমদ (৩৫) নামে এক আসামি ধরতে গেলে দায়ের কোপে হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয় এ কনস্টেবলের। এ ঘটনায় শাহাদাত হোসেন নামে অপর কনস্টেবলও আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় মামলার বাদি মো. আবুল হোসেন কালুও আহত হয় বলে পুলিশ জানায়।
উপজেলার পদুয়া ইউয়িনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লালারখিল এলাকায় ঘটেছে এ ঘটনা। ঘটনার শিকার পুলিশ কনস্টেবল জনি খানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তার শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকাল ৩টার দিকে চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহত অপর পুলিশ সদস্য শাহাদাত হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
লোহাগাড়া থানা পুলিশ সূত্রে প্রকাশ, ঘটনার দিন সকাল বেলা লোহাগাড়া থানার এসআই ভক্ত চন্দ্র দত্ত এএসআই মুজিবুর রহমান ও দুই কনস্টেবল নিয়ে পদুয়া লালারখিল যান। নিয়মিত মামলার আসামি কবির আহমদকে গ্রেফতারের জন্য তার বাড়িতে পৌঁছলে উক্ত আসামি ধারালো দা দিয়ে পুলিশকে কোপাতে থাকে। এ সময় কনস্টেবল মো. জনি খানের বাম হাতের কবজি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত হন অপর কনস্টেবল ও মামলার বাদি। এ ঘটনার পর আসামি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই ব্যক্তি একাধিক মামলার আসামি বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান জানান, আসামি কবির আহমদকে গ্রেফতারের তৎপরতা ও এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
সকাল থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শিবলী নোমান বলেন, ‘পুলিশ সদস্যকে আহত করার ঘটনায় জড়িতকে গ্রেফতারে র্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ‘আহত পুলিশ সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।’