রফিকুজ্জামান রণি :
কেবলমাত্র ব্যঙ্গ-রচনার নিক্তিতে তুলে আবুল মনসুর আহমদকে মূল্যায়ন করলে তাঁর প্রতি সুবিচার করা হবে না। এ কথা অনস্বীকার্য যে, ব্যঙ্গ-রসের এক ব্যতিক্রমী ধারা তিনি তৈরি করেছিলেন আমাদের কথাসাহিত্যে। তারপরও বলতে হয়- তাঁর বহুবর্ণিল এবং বহুলচর্চিত শিল্পচর্চার মাঠে ব্যঙ্গরচনা কেবলই একখ- জমিন। সেটাও আবার হাস্যরসের গ-িতে আটকা পড়ে থাকেনি। সেখানে ধর্মান্ধতা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, শ্রেণিসংগ্রাম, রাজনৈতিক ঘূর্ণিছক, সামাজিক অসঙ্গতি এবং চিরায়ত বিষয়াশয়গুলিই মূর্ত হয়ে ওঠেছে বারবার। আবুল মনসুর আহমদ মূলত কুসংস্কারাচ্ছন্ন বাঙালি মুসলিম সমাজ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চেয়েছিলেন, আধুনিকতার জলস্পর্শ দিয়ে পুনর্নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন ধর্মের খাঁটি এবং আদি বিষয়বস্তুগুলিকে। এদিকটায় নজর করতে গিয়ে তিনি হিন্দু-মুসলিম উভয় শ্রেণির ধর্মাবলম্বীদের বিভেদ-বিচ্ছেদের বিষয়টিকেও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। ফলে তাঁর গল্পের শরীরে উন্নতমানের ক্যামেরা সেটের ভিডিও ফুটেজের মতোই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ধর্মীয় সংঘাতের করুণসত্য সব চিত্র-প্রতিচিত্র। এ ক্ষেত্রে মনসুর আহমদের ‘গো-দেওতা কা দেশ’ থেকে কিয়দাংশ পাঠ নেয়া যেতে পারেÑ
‘হিন্দুরা বলিল : এদেশ না ছাড়, গরু খাওয়া ছাড়।
মুসলমান জাতটা ছিল বড় একগুঁয়ে; আমাদের ধ্বংস করাই ছিল তাদের উদ্দেশ্য।
তারা বাঁকিয়া বসিল। বলিল : আমরা গরু খাওয়া ছাড়িব না, এদেশও ছাড়িব না। কারণ গরু আমাদের খাদ্য এবং এদেশ আমাদের মাতৃভূমি।
হিন্দুরাও রাগিয়া গেলো। বলিল : তবে রে বেটারা! আমাদের দেশে বাস করিয়া আমাদেরই সঙ্গে আড়ি।’
তাঁর ‘ধর্ম রাজ্য’ গল্পেও ঠিক একই সুর পরিলক্ষিত হয়। আলোচ্যমান গল্পে ধর্মীয় অসম্প্রীতি এবং ধর্ম-সংশ্লিষ্ট সংঘাতময় পরিবেশ-পরিস্থিতির যে রূপায়ণ করেছেন তিনি কালপরিক্রমায় সে চিত্র এখনও প্রাসঙ্গিক! আজ অব্দি মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সম্প্রীতির যথেষ্ট ঘাটতি-বিভেদই বেশি লক্ষ করা যায়। আধুনিকতার পরম মুহূর্তে এবং তথ্যপ্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের কালেও তুচ্ছ-সাধারণ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা-মামলা, ধর্ষণ-নির্যাতন ও ছোট দৃষ্টিতে তাকানোর নির্মমতা রোধ করা সম্ভবপর হয়নি। একালেও হিন্দু মুসলমানের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উন্মাদনা পরিহার করে শতভাগ বন্ধুত্বপূর্ণ চেতনার উন্মেষ ঘটানো কি আদৌ সম্ভব হয়ে উঠেছে? তাছাড়া দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের সুযোগ নিয়ে তৃতীয়পক্ষ যে সুবিধা লুফে নেয় সেটাও খুব চমৎকারভাবে ভেসে ওঠে তার শব্দের তীব্র ¯্রােতে। এই গল্পে সেরকম করুণ-আর্তি অনেকটা গাণিতিক ফর্মুলায় তথা জ্যামিতিক চিত্রের মতোই তুলে ধরেছেন তিনি-
‘অবশেষে হাতের লড়াই থামিল।
কিন্তু দাঁতের লড়াই থামিল না। বাঁশের লড়াইর বদলে বাঁশির লড়াই চলিতে লাগিল। হিন্দু কাগজওয়ালারা মুসলমানদিগকে এবং মুসলমান কাগজওয়ালারা হিন্দুদিগকে প্রাণ ভরিয়া গালি দিতে লাগিল। নেতারা নিজেদের দলের মধ্যে সভা করিয়া বিপক্ষের বিরুদ্ধে দেহ ভরিয়া নর্তন ও গলা ভরিয়া গর্জন করিতে লাগিলেন। সত্য-সনাতন ধর্ম অধিকতর বিপন্ন হইয়াছে বলিয়া হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের নেতাদের ও সম্পাদকদের মধ্যে হাহাকার পড়িয়া গেল। ইংরাজ সরকারের নিকট বিচার চাওয়া হইল : মসজিদের সামনে বাদ্য বাজান চলিবে কি না?’
সম্ভবত পৃথিবীতে ধর্ম আসার পর থেকেই, ধর্মের জন্যে তথাকথিত ধর্র্ম-নেতাদের মরতে তেমন একটা দেখা না গেলেও সাধারণ মানুষকে, যারা ধর্মের ছিটেফোঁটাও বোঝে না; তারাই বার বার ধর্মযুদ্ধে যূপকাষ্ঠে প্রাণবলি দিতে দেখা যায়। সেসব সাধারণ, ধর্মজ্ঞানহীন সেকেলে মানুষগুলির মৃত্যুর সারির দিকে তাকিয়ে বিস্ময়-শিহরিত হয়ে ভীষণ আক্ষেপের বাণী আওড়ান কথাশিল্পী আবুল মনসুর আহমদ।Ñ
‘হিন্দু মৃতদেহগুলির বুকের উপর এক এক খ- গৈরিক বস্ত্রে আবিরের অক্ষরে লেখা রহিয়াছে- ‘আর্য বীর’ এবং মুসলমানদের বুকের উপর সবুজ বস্ত্রখ-ে রুপালী হরফে লেখা রহিয়াছে- ‘শহীদ’। ‘আর্য বীর’ এবং ‘শহীদ’ এ ধরনের সাম্প্রদায়িক শব্দসমষ্টি ধর্মীয় অস্ত্রের কাছে গচ্ছিত থাকলে একজন সচেতন লেখকের আক্ষেপ করা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে!’
আবুল মনসুর আহমদের কালজয়ী সৃষ্টিকর্মের মধ্যে ‘হুজুরে কেবলা’য় আলাদা নান্দনিকতার নির্যাস পাওয়া যায়। গল্পের অন্যতম প্রধান চরিত্রের নায়ক এমদাদ অতি প্রগতিশীল ভাবধারায় জীবনযাপন করেও এক সময় হাপিত্যেসে ভুগতে লাগলেন। সেকারণেই বিলাতি ফিনফিনে ধূতি এবং সিল্কের দামি জামা পুড়িয়ে দিয়ে দেশজ পোশাক-আষাকে সুসজ্জিত হয়ে প্রশান্তির আশ্রয় খুঁজতে ধর্মের করতলে আশ্রয় নেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভ্রষ্ট এক ধর্মগুরুর খপ্পরে পড়ে তার চেতনার তন্ত্রীতে মারাত্মক রক্ত ক্ষরণ হয়। নাস্তিক্যবাদী মতাদর্শে বেড়ে-ওঠা এমদাদ তার অতীতের সব মত-পথ এবং ব্যক্তিত্ববোধ ত্যাগ করে, ধর্মের সংস্পর্শ পেতে এসে প্রতারিত হয়ে একজন ভ-পীরের কাছে গিয়ে ভালো মানুষের আদতে যে শয়তানের প্রতিরূপ আবিষ্কার করেছে তা তার পূর্ববর্তী হতাশাবোধের চেয়েও ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে সাধারণ মানুষের ভেতরে বিভ্রান্তি ঢুকিয়ে দেয়া এবং সরল-সোজা, অশিক্ষিত মুরিদপুত্র রজবের সুন্দরী স্ত্রী কলিমনকে সুকৌশলে বিয়ে করে নিজের পাপ বাসনা পূরণ করা আর একটি সুখের সংসার ধ্বংস করার দৃশ্য দেখে স্বভাবতই প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে সে। কিন্তু তার প্রতিদান হলো ভয়ংকর! সমাজ হিতৈষীদের কপালে যা হয় সচরাচর! উল্টো ধর্মোন্মাদ, মূর্খ মুরিদ-চেলাদের হাতে চরমভাবে নিগৃহীত হয়েছে এমদাদ। লেখকের ভাষা-
‘এইবার তার চেতনা ফিরিয়া আসিল। সে এক লাফে বরাসনে উপবিষ্ট পীর সাহেবের সম্মুখে উপস্থিত হইয়া তাঁর মেহেদী-রঞ্জিত দাড়ি ধরিয়া হেচকা টান মারিয়া বলিল : রে ভ- শয়তান! নিজের পাপবাসনা পূর্ণ করিবার জন্য দুইটা তরুণ প্রাণ এমন দুঃখময় করিয়া দিতে তোর বুকে বাজিল না?
আর বলিতে পারিল না। সাগরেদ-মুরিদরা সকলে মার মার করিয়া আসিয়া এমদাদকে ধরিয়া ফেলিল এবং চড়-চাপড় মারিতে লাগিল।’
এখানেও পীর তার ভ-ামির আশ্রয় গ্রহণ করলো। সে ভালো মানুষ সাজার চেষ্টা করলো। সেই বর্ণনাও লেখক অত্যন্ত চমৎকার ভাষায় উপস্থাপন করেন। আরবি ও উর্দুতে কোরান হাদিসের কিছু আয়াত-পঙক্তির কথাও তিনি ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার্থে বন্ধনীর ভেতরে ‘আরবি ও উর্দু’ কথাটি লিখে ধর্মগ্রন্থের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। লেখকের ভাষায়-‘ভূলুণ্ঠিত পীর সাহেব ইতিমধ্যে উঠিয়া ‘আস্তাগফেরুল্লাহ’ পড়িতে পড়িতে তার আলুলায়িত দাড়িতে আঙ্গুল দিয়া চিরুণী করিতেছিলেন। মাতব্বর সাহেবের হুকুমের পিঠে তিনি হুকুম করিলেন : দেখিস্ বাবারা, ওকে বেশি মারপিট করিস্ না। ও পাগল। ওর মাথা খারাপ। ওর বাপ ওকে আমার হাতে সঁপিয়া দিয়াছিল। অনেক তাবিজ দিলাম। কিন্তু কোন ফল হইল না। খোদা যাকে সাফা না দেন, তাকে কে ভাল করিতে পারে? (…আরবি ও উর্দু)’
এ গল্প বর্তমান সমাজ ব্যবস্থারও প্রতিনিধিত্ব করে। ধর্মের কঠোর শিকলে জিম্মি রেখে সাধারণ, সহজ-সরল মানুষের কাছে স্বার্থান্বেষী মহল ও তথাকথিত ধর্মবোদ্ধা ফায়দা লুটিয়ে নেওয়ার ঘটনা এ সমাজে যুগ যুগ ধরে বিরাজ করে আসছে, এখনও বহমান। ‘হুজুরে কেবলা’য় সে দৃশ্য পিকাসোর প্রতিবাদী চিত্রকর্মের মতই আমরা স্পষ্ট দেখতে পাই। সেই সাথে তাঁর মিশ্রভাষার ব্যবহারও অত্যন্ত চমৎকৃত করে।
আবুল মনসুর আহমদ প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন বলেই হয়তো তাঁর অন্তর্দৃষ্টি এতটা প্রখর। ব্যঙ্গবিদ্রƒপ আর রম্যরসের মধ্যেই এমন সব অদ্ভুত সামাজিক প্রেক্ষাপট টেনে আনেন যা সবাইকে ঘোর লাগিয়ে দেয়। অত্যন্ত যুক্তিযুক্তভাবে তিনি ব্যঙ্গাত্মক কিন্তু পরিশীলিত ভাষায় সমাজের আনাচে-কানাচে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দৈনন্দিন জীবনের ঘটনাপ্রবাহকে টেনে এনে গল্পের বাহুডোরে বেঁধেছেন, দেখিয়েছেন আপন মহিমা ও কর্মকলার এক বিশুদ্ধ দৃষ্টান্ত। তাঁর কলমের নিবের তলা থেকে বাদ পড়ে না পারিবারিক খুনসুটি, দেশপ্রেম এবং প্রবহমান অসঙ্গতির কথাও। এতকিছুর পরও তাঁর রচনাগুলোতে বার বার দুষ্ট ধর্মবোদ্ধাদের মুখোশ উন্মোচনের দিকটাই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে।
খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের অন্যতম বরপুত্তুর আবুল মনসুর আহমদের আরো একটি পাঠক নন্দিত গল্প ‘নায়েবে নবী’তেও সেই একই স্বর ও চিত্র আমরা লক্ষ্য করি। ‘নায়েবে নবী’ গল্পে তিনি একজন সূক্ষ্ম গবেষকের পরিচয় দিয়ে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করে বলেন-‘হাদিস কোরআনে লেসার্নি কাবেলিয়ৎ থাকার দরুণ তিনি অল্পকাল মধ্যেই পার্শ্ববর্তী তিন চারখানা গ্রাামের সরদারি দখল করিয়াছেন। প্রথম প্রথম কয়েকখানা গ্রাম বাহাস করিয়াই জিতিয়াছিলেন বটে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী মৌলভী (সুধারামী সাহেবের মতে মুনশি) গরিবুল হর গোয়ার্তুমিতে শেষ কয়েকটি গ্রাম দখল করিতে হাদিস-কোরআন রাখিয়া লাঠি সোটার ও আদালতের সাহায্য লইতে হইয়াছিল।’
চলমান এবং ধাবমান প্রেক্ষাপট নির্ণয় করতে গেলে এক কথায় বলা যায় যে, আবুল মনসুর আহমদ বিদ্যমান সামাজিক ব্যাধির যুতসই দাওয়াই-টনিকই দিয়েছেন। এসব গল্পের হালহকিকত বর্তমানেও কম নয়। বরঞ্চ আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু যে হিন্দু-মুসলিম অনৈক্য তা নয়, স্বজাতিদের মধ্যেও এমনকি মৌলভী মৌলভীর লড়াইয়ের হালচিত্রও অহরহই আমাদের চোখের সামনে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তাই কালপরিধি আবুল মনসুর আহমদের গল্পের আবেদন ও প্রাসঙ্গিকতা অপরিহার্য করে তুলছে দিনে দিনে। আলোচ্যমান গল্পগুলোর বাইরেও তার ‘বিদ্রোহী সংঘ’, ‘মুজাহেদী’ ও ‘লিভরে কওম’সহ অসংখ্য লেখনীর মাধ্যমেও যে সমস্ত বৈষম্যের প্রতিবিম্ব অঙ্কন করেছেন তিনি দিনে দিনে বৃষ্টিস্নাত কিংবা বসন্তস্পর্শী বৃক্ষের মতো সজীব হয়ে উঠছে। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির প্রাজ্ঞপুরুষ, সফল রাজনীতিবিদ, সুদক্ষ আইনজীবী এবং দেশখ্যাত সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদের আখ্যান পর্যায়ের লেখা ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ সামাজিক, রাজনৈতিক ও সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে উপমহাদেশীয় রাজনীতিতে একটি বিশুদ্ধ দলিলের মর্যাদা লাভ করছে। তিনি রাষ্ট্রভাষার উৎকর্ষ সাধনে তমুদ্দুন মজলিশ কর্তৃক ১৯৪৭ সালের বলিয়াদী প্রেস থেকে প্রকাাশিত ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ পুস্তিকায় ‘বাঙলাই হবে রাষ্ট্রভাষা’ নামক স্বল্পদৈর্ঘ্য একটি মূল্যবান প্রবন্ধ লিখে বাংলাভাষার পক্ষে সাতটি গ্রহণীয় মত দিয়ে নন্দিত হন। খ্যাতনামা কথাশিল্পী, প্রাবন্ধিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক আবুল মনসুর আহমদ পার্থিব জীবনের কালখ-ে কোনো কাজেই পরাজিত হননি। রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেও নেতিবাচকভাবে বিতর্কিতও হননি কখনো। ১৯৭৯ সালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান আবুল মনসুর আহমদ।
কিন্তু তাঁর সৃষ্টি তাঁকে এখনও আড়াল হতে দেয়নি, হয়তো বা কোনো কালেই আড়াল হতে দেবেও না তাঁকে। এক্ষেত্রে কবি অন্নদাশংকর রায়ের কণ্ঠের সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও উচ্চারণ করতে সাহস পাই- ‘আয়না’ লিখিয়া আবুল মনসুর আহমদ প্রাতঃস্মরণীয় হইয়াছেন। ফুড কনফারেন্স লিখিয়া তিনি অমর হইয়াছেন।’