নিজস্ব প্রতিবেদক »
চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকায় দেড় শ শয্যার বার্ন ইউনিট হবে। গত ২০ মার্চ ওই স্থানে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা সরানো হয়। পরে ৩০ মার্চ চীনের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও শুরু হয়নি মূল অবকাঠমো নির্মাণের কাজ।
এ বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান বলেন, এখনও কাজ শুরু হয়নি। সেখানে স্থাপনা সরানো হলেও মাটির তলায় বিল্ডিংয়ের ফাউন্ডেশনের অংশ রয়ে গেছে। সেগুলো সরানোর কাজ চলছে। সেসব স্থাপনা সরানো ও গাছ কেটে পরিষ্কার করা হবে। আমাদের দিক থেকে সব ঠিক থাকলে তারা লোক পাঠাবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নেওয়ারও ব্যাপার আছে। সেগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। যততত্র ইট ছড়িয়ে রয়েছে তা সরানো হচ্ছে। এখনও মাত্র ৫০ শতাংশ ইট সরানো হয়েছে। তবে চারপাশে দেয়াল এবং মূলফটকের কাজ চলছে। তা ২০ শতাংশ এগিয়েছে। আরও মাসদুয়েক লাগতে পারে অবকাঠমোর কাজ শুরু হতে।
বর্তমান চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের অবস্থা নিয়ে কথা হয় বিভাগীয় প্রধান ডা. রফিক উদ্দীন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, শয্যা, আইসিইউ’র অপ্রতুলতাসহ নানা সংকটে ভুগছে বার্ন ইউনিট। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ হয়নি ইউনিটটি। মাত্র ২৬ শয্যার হলেও এ ইউনিটে প্রতিদিন ভর্তি থাকে ৭০-৮০ জন রোগী। শীতকালে রোগীর সংখ্যা আরও বেশি থাকে। চীনের অর্থায়নে হচ্ছে বার্ন ইউনিট। এটা নিতান্তই ভালো সংবাদ। আগুনে পোড়া রোগীদের শ্বাসনালি পুড়ে গেলে ঢাকা পাঠনো হয়। প্রস্তাবিত বার্ন ইউনিট হলে চট্টগ্রামের রোগীরা এখানেই চিকিৎসা পাবেন।
জানা গেছে, চমেক হাসপাতালে পেছনে গোঁয়াছিবাগান এলাকায় প্রায় এক একর জায়গায় নির্মাণ করা হবে বার্ন ইউনিট। প্রকল্পটিতে ১৫০টি শয্যা থাকবে। তার মধ্যে ২০টি আইসিইউ, শিশুদের জন্য ৫টি আইসিইউ, এইচডিইউ ২৫টি, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার করা হবে ২টি। রোগী আনা-নেওয়ার সুবিধার জন্য তিনটি রাস্তা বানানো হবে। চট্টেশ^রী রোডের দিক থেকে একটি রাস্তা হবে। সেটি হবে বার্ন হাসপাতালের প্রধান রাস্তা। চমেক হাসপাতালের পেছনে ছাত্র হোস্টেলের দিক থেকে আসবে আরও একটি রাস্তা। সর্বশেষ রাস্তাটি হবে মিজান হোস্টেলের দিক দিয়ে। সেখানে মাঝখানে পাহাড় থাকায় তা ঘুরিয়ে ওয়ার সিমেট্রি হয়ে আনা হবে।
হাসপাতালটি ৬তলা ভবনের করা হবে। প্রথম তলায় থাকবে ইর্মাজেন্সি ওয়ার্ড এবং ওপিডি, দ্বিতীয় তলায় তিনটি ওটি (অপারেশন থিয়েটার) এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), তৃতীয় তলায় সম্পূর্ণ হাই ডিপেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), ৪র্থ, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলায় ওয়ার্ড এবং অফিস।