সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
উত্তেজনা কিংবা টাকার অঙ্ক, যে পাল্লাতেই মাপা হোক না কেন, বিশ্বের সেরা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা আইপিএল। আকর্ষণীয় এই লিগের অংশ হতে চান না কে? আয়োজকরাও যেকোনও মূল্যে ‘টাকার খনি’র প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে মুখিয়ে থাকে। তাই ভারতজুড়ে করোনার তা-ব চললেও ঠিকই আইপিএল চালিয়ে নিচ্ছিলো ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
কিন্তু জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেও বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে আইপিএল। খবর বাংলাট্রিবিউনের।
গতকাল মঙ্গলবার কুড়ি ওভারের প্রতিযোগিতাটি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। যদিও স্থগিতের কোনও সময়কাল উল্লেখ করেনি তারা। অবশ্য আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ স্থগিত করা হয়েছে ভারতের ঘরোয়া প্রতিযোগিতা।
এখন কথা হচ্ছে, আদৌ কি এ বছর আইপিএল আয়োজন সম্ভব? কারণ এপ্রিল-মে’র এই সময়টা আইপিএল ক্যালেন্ডার হিসাব করে ইন্টারন্যাশনাল সূচি ঠিক করে রাখা হয়। এখন যেহেতু আইপিএল হচ্ছে না, সেহেতু পরবর্তীতে আয়োজন করতে চাইলে বিদেশি খেলোয়াড়দের পাওয়া কঠিন হয়ে যেতে পারে। কারণ তখন দেখা যাবে, ওই খেলোয়াড়দের জাতীয় দলের সূচি আছে।
যদিও তাৎক্ষণিকভাবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ অফিসিয়িালি কিছু জানাননি। কতদিনের জন্য বন্ধ করা হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করেনি বিবৃতিতে। তবে আইপিএল চেয়ারম্যান প্যাটেল জানিয়েছেন, পরে সুবিধাজনক সময়ে আয়োজন করা হবে আইপিএল। তবে এই মাসে সম্ভব নয়। পিটিআইকে তিনি বলেছেন, ‘টুর্নামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। আমরা পরবর্তী উইন্ডোতে ইভেন্টটি শুরু করার চেষ্টা করবো। তবে এই মাসে সেটা সম্ভব নয়।’ ‘পরবর্তী উইন্ডো’ মেলানোই কঠিন তাদের জন্য। বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা অবশ্য একটা সময়ের উল্লেখ করেছেন। যদিও সেটি শুধু ধারণা দেওয়ার জন্যই বলেছেন পিটিআইকে দেওয়া বক্তব্যে, ‘এ বছরের পরের দিকে সুবিধাজনক একটা সময় বের করার চেষ্টার করবো। এটা হতে পারে সেপ্টেম্বর, যদিও সবই ধারণা।’
করোনা মহামারীতে মৃত্যুর মিছিল ভারতে। এরমধ্যে আইপিএল চালিয়ে নেওয়ায় বিসিসিআইয়ের কঠোর সমালোচনা হয়েছে। যদিও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খেলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে ছিল। কিন্তু সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাদের ম্যাচ বাতিল করতে বাধ্য হয় টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ। পরপরই আসলে চেন্নাই সুপার কিংসেও করোনার থাবা বসানোর খবর।
এই অবস্থায় আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা জন্মে। আর আজ সকালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা ও অমিত মিশ্রর কোভিড পজিটিভের খবর এলে আরও নড়েচড়ে বসে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে স্থগিতই করে দিয়েছে ২০২১ সালের প্রতিযোগিতা।
গত ৯ এপ্রিল শুরু হয়েছিল আইপিএলের ১৪তম আসর। করোনার কারণে স্থগিত হওয়ার আগে শেষ হয়েছে ২৯ ম্যাচ। ৩০তম ম্যাচে এসে হানা দেয় করোনা, যে কারণে স্থগিত হয় কলকাতা-বেঙ্গালুরু ম্যাচ। সে পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা চেন্নাই ২ পয়েন্টে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। সমান ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সমান পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে তারা।
খেলা