আবদুল মান্নান :
বিশ্বের মুরুব্বি বলে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০ জানুয়ারি শপথ নিলেন ৭৮ বছর বয়সী জো বাইডেন । সাথে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস যাঁর মা ভারতীয় ও বাবা ক্যারিবিয়ান । বাইডেন হলেন যুক্তরাষ্টের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট। রোনাল্ড রেগান যখন প্রথমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬৯ । বাইডেন তাঁকে টপকে গেলেন । যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, পরবর্তীকালের ঘটনাবলি, শপথ গ্রহণ দিনের প্রস্তুতি, সব কিছু সেই দেশের ইতিহাসে একাধিক নানা তর্ক বিতর্কের জন্ম দিয়ে স্মরণ করার মতো বিষয় হয়ে থাকবে । নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন তিনি হারতে পারেন না আর যদি তিনি না জিতেন তা হলে তিনি নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন না । ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় কোন শালীনতা ছিল না । তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেনকে সব সময় তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলতেন । বাইডেন দীর্ঘদিন ধরে সিনেটর ছিলেন, পরবর্তীকালে বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন । কমলা হ্যারিস একজন তুখোড় আইনজীবী থেকে সিনেটর হয়েছিলেন । তার বাবা মা দু’জনই উচ্চশিক্ষিত ও মার্জিত । সেই তুলনায় ট্রাম্পের কোন রাজনৈতিক অতীত ছিল না । তিনি একজন ব্যবসায়ী । অভিবাসী পিতামহ ছিলেন পতিতার দালাল । ১৯৯১ সাল হতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ট্রাম্পের মালিকানাধীন পাঁচটি হোটেল ও ক্যাসিনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করেছিল । বাংলাদেশ হতে ট্রাম্পের কোম্পানি বিপুল পরিমাণের তৈরি পোশাক আমদানি করে । অন্য দশজন মার্কিনীর মতো তিনিও একজন অভিবাসীর সন্তান যা ইতোপূর্বে উল্লেখ করেছি । ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প ২০০৬ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব পান । ছিলেন মডেল ।
২০১৬ সালে যখন ট্রাম্প ডেমোক্রেট প্রার্থী সাবেক ফার্স্ট লেডি ও বারাক ওবামার পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তখন মানুষ প্রথম তার নামের সাথে পরিচিত হয় । সকলে ধারণা করেছিল হিলারি বুঝি জিতে যাবেন । হিলারি ট্রাম্পের চেয়ে ত্রিশ লক্ষ বেশি সাধারণ ভোটারের সমর্থন পেয়েও ট্রাম্পের কাছে হেরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জটিল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার কারণে । শুরুতে একজন অজানা ট্রাম্প কেমন প্রেসিডেন্ট হবেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে সে প্রশ্ন ছিল অনেকের । তবে ট্রাম্প যখন তার নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন তখন বুঝা গিয়েছিল, নির্বাচনে বিজয় হলে কেমন প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি । বুঝা গিয়েছিল, চারিত্রিকভাবে তিনি ছিলেন মারাত্মক একরোখা এবং নিজেকে ছাড়া অন্যকে তেমন একটা গুরুত্ব দিতেন না । তার নৈতিকতা ছিল একেবারেই অনুল্লেখ্য । তাঁর সাথে দেহ ব্যবসায়ীদের সাথে যে সম্পর্ক ছিল তা তিনি কখনো গোপন করেননি।
দেশ ও সরকার কি ভাবে পরিচালিত হয় সেই সম্পর্কে তার জ্ঞান একজন হাই স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীর সমপর্যায়েরও ছিল না । ট্রাম্পের কথাবার্তায় সবসময় মনে হতো তিনি কোন গণতান্ত্রিক দেশের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়াই করছেন না, করছেন একজন স্বৈরাচার হওয়ার জন্য । তিনি যখন দায়িত্ব নেয়ার সময় তার বক্তৃতায় বলেন, ‘আমেরিকা হবে আমেরিকাবাসীর জন্য’ তখন বস্তুতপক্ষে তিনি ঘোষণা করেছেন আমেরিকা হবে সাদাদের, অন্যান্যরা যেমন কালো, হিসপানিক, এশীয়, চীনা, মেক্সিকান প্রভৃতি দেশ বা অঞ্চলের মানুষের জায়গা যুক্তরাষ্ট্র নয় । ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বায়নের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের যে সব কর্মকা- দেশের বাইরে চলে গিয়েছে তা তিনি আবার দেশে ফিরিয়ে আনবেন যা বাস্তবে তেমন একটা সম্ভব নয় ।
আজ হতে প্রায় ষাট বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সি নিয়ে লিখে রিচার্ড নিউস্টাডাট বেশ যশ ও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন । তিনি লিখেছিলেন, হোয়াইট হাউজ কোন আনাড়িদের জায়গা নয় । চার বছর মেয়াদ কালে ট্রাম্প তার পদের মর্যাদা কখনো বুঝতে পারেননি । আচরণ করেছেন একজন নি¤œমানের আনাড়ির মতো । যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মিডিয়া হিসাব করে দেখিয়েছে, ট্রাম্প গত চার বছরে গড়ে প্রতিদিন একুশটি মিথ্যা কথা বলেছেন । বিশ্লেষকরা বলেছেন অজ্ঞতা ছিল ট্রাম্পের বৈশিষ্ট্য আর নিজ দেশের সংবিধান বা ইতিহাস সম্পর্কে তাঁর কোন ধারণাই ছিল না । তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে তাঁর একান্ত বশংবদ ফক্স টিভির সংবাদ ও তথ্যের বাইরেও যে একটি বাস্তবজগত আছে তা বিশ্বাস করতে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনে তিনি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন । তার সাথে প্রশাসনের কেউ যুক্তি দিয়ে কথা বললে বা দ্বিমত করলে তিনি তাকে তাৎক্ষণিক ছাঁটাই করতে দ্বিধা করতেন না । এর ফলে শেষের দিকে ট্রাম্পের প্রশাসন সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিল।
তার কর্মকা-ের কারণে তিনি বর্ণবাদীদের ঈশ্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন । ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল, তিনি নিজের স্বার্থকে রাষ্ট্রিয় নিরাপত্তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতেন । ট্রাম্প যুগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই দেশের শিল্প কারখানা । তার অন্যতম কারণ চীনের সাথে তার সৃষ্ট বাণিজ্য যুদ্ধ (ট্রেড ওয়ার) । চীন হতে আমদানি করা সকল পণ্যের ওপর তিনি বাড়িয়ে দিলেন শুল্ক ও নানা ধরণের কর । এর ফলে তার প্রভাব পড়লো যুক্তরাষ্ট্রে প্রস্তুত বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ব্যয়ের ওপর যার ফলে এই সব পণ্যের চাহিদা কমে গেল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে । শেষের দিকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই দেশের গাড়িপ্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো । এর ফলে বেকারত্ব বেড়ে গেল জ্যামিতিক হারে । এটি বেশি হয়েছে ট্রাম্পের করোনা অতিমারিকে গুরুত্ব না দেয়ার কারণে । তিনি তখন এতই বেপরোয়া যে একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও তিনি বলছেন, এই অতিমারি চীনের সৃষ্টি তাদের দেশকে কোন ক্ষতি করবে না, এতে আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই । নিজের দেশের বিশেষজ্ঞ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যখন পরামর্শ দিল অতিমারি হতে সুরক্ষার জন্য মাস্ক পরতে, ট্রাম্প সকলকে অবাক করে দিয়ে নির্দেশ দিল কোন সরকারি ভবনে মাস্ক পরা যাবে না । এটা নাকি সন্ত্রাসীরা পরে । ফলে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এই পর্যন্ত চার লক্ষের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে করোনার কারণে । ধারণা করা হচ্ছে আরো এক লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে । সবাইকে অবাক করে দিয়ে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হতে প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ জারি করলেন ।
শেষ পর্যন্ত নভেম্বরের নির্বাচনে বিনয়ী জো বাইডেন ও তার রানিংমেট কমলা হ্যারিস ট্রাম্পকে হারিয়ে দিলেন । ট্রাম্প বললেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে । আসল বিজয়ী সে । মানেন না তিনি এই নির্বাচনী ফলাফল । ছাড়বেন না তিনি ক্ষমতা । উসকে দিলেন তার বর্ণবাদী গুন্ডাদের । তারা রাস্তায় বের হয়ে পড়লো আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে । আমাদের দেশের যে সকল রথি মহারথিরা সুযোগ পেলেই ছুটে যান যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে নালিশ করতে, তারা এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত নিশ্চুপ । গত ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটাল বিল্ডিং -এ (বলা যেতে পারে সে দেশের সংসদ ভবন) যখন নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতা চলছিল তখন ঘটে গেল সেই দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ঘটনা । ফলাফল ঘোষণার আনুষ্ঠানিকতার সভায় পদাধিকার বলে সভাপতিত্ব করছিলেন ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স । কাছেই হোয়াইট হাউজ । তার কাছেই একটি পার্কে ট্রাম্পের আমন্ত্রণে জড়ো হয়েছিল তার কয়েক হাজার উগ্র বর্ণবাদী সমর্থক । ট্রাম্প কোন রাখঢাক না করেই বললেন, ক্যাপিটাল বিল্ডিং এ তার বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার সকল আয়োজন চলছে । সমর্থকদের আহ্বান জানালেন তারা যেন কালবিলম্ব না করে সেখানে অভিযান চালান । তিনিও তাদের সাথে থকবেন । হ্যাঁ এটি ঘটেছিল গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী যুক্তরাষ্ট্রে । পরবর্তী দৃশ্য ছিল ভয়াবহ । হাজার হাজার ট্রাম্প সমর্থক, অনেকে সশস্ত্র অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়লো ক্যাপিটাল ভবনে । নিরাপত্তা কর্মীরা সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত। ভিতরে অবস্থানরত কংগ্রেস ও সিনেটের কয়েকশত সদস্য যে যেখানে পারলেন আত্মগোপন করলেন । একদল দুর্বৃত্ত ফাঁসির দড়ি নিয়ে মাইক পেন্সকে খুঁজতে শুরু করলো । যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটা ঘটনা ঘটতে পারে তা সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছিল । যখন এই তা-ব চলছিল তখন ট্রাম্প একটি পার্টিতে মদ পান করতে করতে বেশ আনন্দ উপভোগ করছিলেন । সেদিন ঘটে যেতে পারতো এক ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ । ইতোমধ্যে সেই দিনের ঘটনার জন্য ট্রাম্প সিনেটে অভিশংসিত হয়েছেন। সেই অভিসংসনে ট্রাম্পের নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির দশজন সদস্য তার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ট্রাম্প শুধু নিজ দেশকেই বিভাজিত করেননি, তিনি তার দলকেও বিভাজিত করেছেন । এর আগে ট্রাম্প ২০১৯ সালেও অভিশংসিত হয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনি হচ্ছেন প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি নিজ মেয়াদকালে দু’বার অভিশংসিত হয়েছেন । এরপর সিনেটে তার বিচার হওয়া কথা । তা হলে তিনি শাস্তি পেতে পারেন । এর অর্থ হচ্ছে তিনি আর কখনো কোন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না আর হারাবেন সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনেক সুযোগ সুবিধা ।
এক কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে গত বিশ তারিখ জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সাথে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এই সময় পুরো ওয়াশিংটন ডিসিতে কার্যত কারফিউ অবস্থা বিরাজ করছিল। নিরাপত্তার জন্য আনা হয়েছিল পঁচিশ হাজার ন্যাশনাল গার্ড যা ইরাক ও আফগানিস্তানে অবস্থানরত মোট মার্কিন সৈন্যের চেয়েও বেশি। নিয়ম অনুযায়ী বিদায়ী প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন। প্রায় ২৪৪ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে ট্রাম্প কুড়ি তারিখ সকাল ৮টা কুড়ি মিনিটে সস্ত্রীক হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যান। তাকে বিদায় জানাতে রেওয়াজ অনুযায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা অন্য কোন সিনিয়র কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন না।
নূূতন প্রেসিডেন্টের হাতে অনেক কাজ যার অন্যতম হচ্ছে বিভাজিত যুক্তরাষ্টে ঐক্য ফিরিয়ে আনা, এটি মোটেও সহজ নয় কারণ ট্রাম্প মোট ভোটারের প্রায় অর্ধেকের সমর্থন পেয়েছিলেন । তিনি ঘোষণা করেছেন তিনি আবার ফিরবেন যা সিনেট কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হলে সম্ভব নয় । তবে তিনি যে বর্ণবাদকে উস্কে দিয়েছেন তা সহজে মিটবে না । এই বর্ণবাদীরাই হবেন সেই দেশের আগামী দিনের উগ্র সন্ত্রাসী যা আইসিসকেও হার মানাতে পারে । বাইডেন দায়িত্ব নিয়েই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যার অন্যতম হচ্ছে প্যারিস জলবায়ু সমঝোতা হতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন, সেই সিদ্ধান্ত রহিত করা । সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছেন বাইডেন যা ট্রাম্প নিষিদ্ধ করেছিলেন । বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন প্রথম একশত দিনে দশ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করবেন । দায়িত্ব নিয়ে দেখেন টিকার তেমন কোন ব্যবস্থা নেই । বাইডেন এখন কি করবেন তা দেখার বিষয় । রাতারাতি এত বিপুল পরিমাণের টিকা উৎপাদন করা সম্ভব নয় । যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি প্রায় ভঙ্গুর । তা পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাস্তবমুখি কৌশল প্রস্তুত করতে হবে যা খুব সহজ নয় । ৭৮ বছর বয়সী জো বাইডেন কতদূর যেতে পারবেন তা ভবিষ্যৎ বলতে পারবে । তবে তা তিনি যদি করতে না পারেন তা হলে তিনিও খুব শান্তিতে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন না ।
সব শেষে বলতেই হয়, একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যদি তাদের মেরুদ- সোজা রাখতে পারে তা হলে অনেক ঝড়ঝাপটা সামাল দেয়া সম্ভব । যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ । বাইডেন প্রশাসনের সাফল্য কামনা করি । ফিরে আসুক ট্রাম্প জামানায় হারানো যুক্তরাষ্ট্রের সব ভাল ঐতিহ্য । দেশটি আবার পরিণত হোক তেমন একটি দেশে যেমনটি চেয়েছিলেন দেশটির প্রতিষ্ঠাতারা ।
লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক