কক্সবাজার জেলে পাড়ার জেলেদের দিন কাটছে কষ্টে

বাঁকখালী নদী সংলগ্ন কস্তরাঘাট এলাকায় নোঙর করা জেরেদের ট্রলার। ছবি- সুপ্রভাত

দীপন বিশ্বাস, কক্সবাজার »

সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে যেতে পারছেন না কক্সবাজারের জেলেরা। যার ফলে অতি কষ্টে তারা দিনাতিপাত করছেন বলে জেলে পল্লী সূত্রে জানা গেছে।

অনেক জেলে পরিবার ইতোমধ্যে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। সবমিলিয়ে তাদের দিন কাটছে অতিকষ্টে। জেলেদের কেউ জাল বুনে আবার কেউ ট্রলার মেরামত করে পার করছেন অলস সময়। এই চিত্র কক্সবাজারের নুনিয়ারছড়া মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এলাকার। এমন অবস্থায় কখন অনুকূল আবহাওয়া মিলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

অনেক জেলের অভিযোগ, গত ৬৫ দিন বন্ধের সময় তারা পাননি সরকারি বরাদ্দের চাল। যা নানা কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে জনপ্রতিনিধিরা এমন অভিযোগ জেলেদের। ফলে জেলেদের কষ্টের শেষ নেই।

জেলেরা জানায়, জালসহ সব রেডি থাকলেও আবহাওয়া ভালো হলে সাগরে যাব। ৬৫ দিন পর নিষেধাজ্ঞা উঠলেও সাগরে যেতে পারছি না।

কক্সবাজার জেলা বোট মালিক সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল জানান, মাছ ধরার সময় যদি বৈরি আবহাওয়া থাকে তাহলে জেলেরা আরও ক্ষতির মুখে পড়বে।

এদিকে, মৌসুমের এমন সময়ে মাছ আহরণ না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়েও শঙ্কিত ব্যবসায়ী ও মৎস্য কর্মকর্তারা। এবার ৭ হাজার মেট্রিকটন মৎস আহরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা পূরণ নিয়ে শঙ্কিত বোট মালিক ও মৎস্য কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম রব্বানী জানান, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে এবং বারবার এ ধরনের আঘাত আসতে থাকলে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কিছুটা বেগ পেতে হবে।

কক্সবাজার জেলায় ছোট ও মাঝারি আকারের ট্রলার রয়েছে সাড়ে ৫ হাজার। আর  নিবন্ধিত জেলে আছে ৬৫ হাজারের মত।

প্রসঙ্গত, সাগরে মাছের প্রজনন, সংরক্ষণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই সাগরে সবধরনের মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুধবার (২৪ জুলাই) রাত থেকে ফের শুরু হয়েছে সাগরে মাছ ধরা।