নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বালুখালি গ্রামে মোহসেনা আক্তার (২২) নামে দু’সন্তানের জননীকে একদল দূর্বৃত্ত ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। নিহত মোহসেনা আক্তার উক্ত গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী। দূর্বৃত্তরা এসময় মোহাম্মদ আলীর বাড়ির দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি আইসি এসআই মো. মাহমুদুল হাসান মাহবুব জানান, হোয়াইক্যং ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড বালুখালি গ্রামের জনৈক মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মোহসেনা আক্তারকে (২২) রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত তা তদন্তের মাধ্যমে বের করে খুনিদের আটক করা হবে।
অপরদিকে, কক্সবাজার সদরের ৭ নম্বর ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া শিয়াল্লা মোরা থেকে সায়মন (১৩) নামের কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জনসাধারণ ও কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ।
নিহত সায়মন রামু রশিদ নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বড় ধলিরছড়া গ্রামের হতদরিদ্র ছাবের আহমদের ছেলে। সে সংসারে অভাবের টানাপোড়েনে অল্প বয়সেই অটোরিকশা চালাতো। স্থানীয় সূত্র জানায়, সায়মনকে অপহরণ করে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে এবং লুণ্ঠন করা হয়েছে তার অটোরিকশাটি। পুলিশের প্রচেষ্টায় ও এলাকাবাসীর সহায়তায় তিনদিন পর তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অটোরিকশাটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে তা উদ্ধারের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনির উল গিয়াস বলেন, শুক্রবার সন্ধায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ও ময়নাতদন্তের পর ফলাফল জানা যাবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে শুক্রবার দুপুরের দিকে কক্সবাজার পৌর শহরের আলির জাহাল’স্থ এসএম পাড়া রোড এলাকা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অজ্ঞাত এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, স্ক্যারাপের (ভাঙারি) দোকানে কাজ করতেন দুই যুবক। দীর্ঘ ৫ মাস ধরে কাজ করে আসছেন তারা। ঐ দোকানের পেছনের একটা ছোট গুদামে থাকতো তারা দুইজন। মৃত ব্যক্তির নিজ বাড়ি ফরিদপুর বলে জানা গেছে। বেলা ১২টার দিকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে লোকজন স্থানীয় কাউন্সিলরকে অবহিত করে। সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মনিরুল গিয়াস জানান, গলায় ফাঁস লাগানো একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কি কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা তদন্তের পর জানা যাবে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ