নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
একটানা ভারী বৃষ্টির ফলে পৃথক পাহাড় ধসে কক্সবাজার জেলার উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালীতে ৫ রোহিঙ্গাসহ ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এরমধ্যে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ইউনিয়নের পানবাজারের এফডিএমএন ক্যাম্প-১০ এর পাহাড় ধসে দুই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫ জন মারা যায়। মৃতরা হলেন এফডিএমএন ক্যাম্প-১০ এর ব্লক- জি/৩৮ এর ইউসুফের স্ত্রী দিল বাহার (২৫) তার আড়াই বছরের ছেলে আবদুর রহমা, ১ বছরের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা। এছাড়া এফডিএমএন ক্যাম্প-১০ এর ব্লক- জি/৩৭ এর শাহা আলমের স্ত্রী দিল বাহার (৪২) ও তার ছেলে শফিউল আলম (৯) পাহাড় ধসে মারা গেছে। ওই পরিবারের আহতরা হলেন শাহালমের মেয়ে নুর ফাতেমা (১৪) ও জানে আলম (৮)।
এ বিষয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) ৮ এর অধিনায়ক শিহাব খান বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক এসপি মো. তারিকুল ইসলাম তারিক সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ক’দিন ধরে টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা ক্যাম্পগুলোতে ধসের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।আহতরা চিকিৎসাধীন। ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের নিরাপদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, উখিয়ায় পাহাড় ধসে তিন শিশু ও দুই নারী নিহত হয়েছেন। এরা দুটি পরিবারের সদস্য। এছাড়া পাহাড় ধসে ক্যাম্পের আরো কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকলকে উদ্ধার করে নিরাপদস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের মনিরঘোনায় রকিম আলী (৫৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ির উঠোনে বসে গল্প করার সময় পাহাড় ধসে তার মৃত্যু হয়।
পাহাড় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. পারভেজ চৌধুরী।
অন্যদিকে পাহাড় ধসে মহেশখালীতে মোরশেদা বেগম (১৭) নামের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার ছোট মহেশখালীর ইউনিয়নের উত্তর সিপাহি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি একই গ্রামের আনছারুল করিমের মেয়ে। মহেশখালী থানার ওসি আবদুল হাই বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে রাতে পাহাড় ধসে ওই বাড়ির সীমানা দেয়াল ভেঙে মেয়েটি চাপা পড়ে। এতে তার মৃত্যু হয়।
এ মুহূর্তের সংবাদ