সুপ্রভাত ডেস্ক:
দুর্বৃত্তের হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানম এখন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড। সরকারি এই কর্মকর্তা বর্তমানে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার সকালে ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেনসহ অন্য সদস্যরা।
ডা. জাহেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়াহিদার অবস্থা ইতিবাচক, অক্সিজেন লেভেল বেড়েছে। আগে তার প্রেসারে কিছুটা সমস্যা ছিল সেটাও এখন উন্নতি হয়েছে।“তার মাথায় আঘাতের ফলে তার শরীরের ডানপাশটা নাড়াচাড়া করতে একটু সমস্যা হচ্ছে। সেটা ঠিক হতে হয়ত একটু সময় লাগবে। এছাড়া অন্য কোনো সমস্যা এই মুহুর্তে নেই।”
ওয়াহিদা খানমকে দেখতে সকালে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, তিনিও ওয়াহিদার অবস্থা ‘ভালো দেখেছেন।“আমার মনে হয়েছে সি ইজ গুড। এই মুহুর্তে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তারপরও এটা মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত।”
বুধবার রাতে ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ইউএনওর বাসভবনের ভেন্টিলেটর দিয়ে বাসায় ঢুকে ওয়াহিদা ও তার বাবা ওমর আলীর উপর হামলা হয়।
গুরুতর আহত ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বিকালে হেলিকপ্টারে তাকে ঢাকার এনে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাতুড়ির আঘাতে বড় ধরনের জখম হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াহিদার মাথায় প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার চলে।
ওয়াহিদার স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের তিন বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। হামলার ঘটনার সময় ঘোড়াঘাটে ওয়াহিদার সরকারি বাসায় ছিলেন তার বাবা ওমর আলী।
তিনি পুলিশকে বলেছেন, রাতে বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে কেউ একজন বাসায় ঢোকে। ওয়াহিদা টের পেয়ে এগিয়ে গেল তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এ সময় ওমর আলী এগিয়ে গেলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হামলাকারী পালিয়ে যায়।