নিজস্ব প্রতিবেদক :
নগরের কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীনের ভ্রাম্যমাণ সেবা ‘আমার ফার্মেসি’র যাত্রা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিএমপি’র উপকমিশনার (দক্ষিণ) এসএম মেহেদী হাসান এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এখন নগরের যেকোন প্রান্ত থেকে হটলাইন ০১৮৭০ ৭০০ ৭০০ নম্বরে ফোন করলে বাসায় পৌঁছে যাবে ওষুধ।
পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর আমরা সিএমপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ নিয়েছি। ত্রাণ দেওয়া, বাসায়-বাসায় বাজার পৌঁছে দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার চালু, টেলিমেডিসিন সেবার মতোই ভ্রাম্যমাণ ফার্মেসি চালুও আমাদের একটি মানবিক উদ্যোগ। এর ফলে ওষুধ ব্যবসায়ীদের নৈরাজ্য বন্ধ হবে বলে আমার বিশ্বাস। তাছাড়া করোনায় আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত নন এমন মানুষ এতে উপকৃত হবেন বলে আমরা মনে করি।’
অভিযোগ আছে, করোনাকালে চট্টগ্রাম নগরে চট্টগ্রামের এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ওষুধ নিয়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। পাইকারি বাজারে চলছে ওষুধের কৃ্ত্িরম সংকট। অধিকাংশ ফার্মেসিতে বেশি দাম দিয়েও মিলছে না ওষুধ।
এ অবস্থায় ওষুধ সংকট দূর করতে ‘আমার ফার্মেসি’ নামে ব্যতিক্রমী একটি উদ্যোগ নেন আলোচিত ওসি মোহাম্মদ মহসীন । এ কাজে তাকে সহযোগিতা দিচ্ছে বিএম রাইডার্স নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম।
ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ২০ জন বাইক রাইডার দিয়ে ‘আমার ফার্মেসি’র কাজ চালু করেছি। তারা ঘরে ঘরে ওষুধ পৌঁছে দেবেন। পরবর্তীতে আরও ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক এ টিমে যোগ দেবেন।’
প্রাথমিকভাবে ১৫টি ফার্মেসি নির্ধারণ করার কথা জানিয়ে ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এসব ফার্মেসিতে ওষুধের বাড়তি যে দাম হবে সেটা রোগীর জন্য ভর্তুকি হিসেবে দেব। রোগীর কাছে বিক্রির সময় দাম রাখা হবে ১৫ শতাংশ কম। বাসায় ওষুধ গ্রহণের সময় রোগীকে অবশ্যই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখাতে হবে। কোনোভাবেই ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত পরিমাণের বাইরে বেশি ওষুধ দেওয়া হবে না।’