নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগানে দেড়শো শয্যার বার্ন ইউনিট করা হচ্ছে। এ নিয়ে ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), ফায়ার সার্ভিস এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাথে বৈঠক করেছে পরিদর্শনে আসা চীনা প্রতিনিধি দল।
গতকাল বৃহস্পতিবার চমেক হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে সকাল ৯টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অলোচনা বিষয় নিয়ে কথা হয় চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসানের সঙ্গে। তিনি বলেন,‘ চীনা প্রতিনিধি দলের কিছু প্রশ্ন ছিলো। তারা ওয়াসা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) , ফায়ার সার্ভিস এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায়। ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়েও নানা প্রশ্ন করা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, তারা এতদিন যে তথ্য সংগ্রহ করেছে তা নিয়ে আজ শুক্রবার প্রস্তাবনা পেশ করবেন। সেগুলো নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সাথে আগামীকাল (শনিবার) আলোচনা করবো। তারা কি চায়, আমরা কি চায়, দেনা-পাওনা নিয়ে আমরা ৬-৭ মার্চ কনফার্ম করার পর ঢাকা গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।’
বৈঠকে উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ বলেন, ‘তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছে কি ধরনের গাড়ি আছে। যাতায়াতের জন্য রাস্তাঘাট কতটা অনুকূলে রয়েছে। গাড়ির হাইট, ওয়েট, ল্যান্ড কত এসব নিয়েও তারা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া বহুতল ভবনে আগুন লাগলে আমাদের কার্যক্রম নিয়ে জানতে চেয়েছেন চীনা দলটি।’
উল্লেখ্য, গোঁয়াছি বাগান এলাকায় দেড়শো শয্যার বার্ন ইউনিট নিয়ে বৈঠক করতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা আসে ৫ সদস্যর একটি চীনা প্রতিনিধি দল। এরপর মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম আসেন। এই প্রকল্পটিতে ১৫০ টি শয্যা থাকবে। তারমধ্যে -২০টি আইসিইউ, শিশুদের জন্য ৫টি আইসিইউ, এইচডিইউ ২৫টি, অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ২টি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৬০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া রোগীদেরও চট্টগ্রামে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।