উদ্যোক্তারা অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অন্যতম চালিকাশক্তি। উদ্যোক্তারা যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করতে পারে অর্থনীতির উপর সেটি বিরাট ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশ সরকার এক্ষেত্রে সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সমগ্র বিশ্বকে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করেছে কিন্তুুু একইসাথে আমাদের সামনে অনেক সম্ভাবনা ও সুযোগ নিয়ে এসেছে বিশেষ করে তরুণদের জন্য।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ‘উদ্যোক্তা : অর্থনীতির প্রাণশক্তি’ শিরোনামে আয়োজিত ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহারের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব ও সদস্য তনিমা রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় গতকাল ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে অতিথি আলোচকদের মধ্যে অংশ নেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সিকান্দর খান, ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি সৈয়দ মাহমুদুল হক, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি শামস মাহমুদ, স্টার্ট অ্যান্ড ইমপ্রুভ ইউর বিজনেস ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. রুবিনা হোসেন, চট্টগ্রাম চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক এম.ডি.এম মহিউদ্দীন, ইকবাল বাহার জাহিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক, উদ্যোক্তা ড. মো. কামাল উদ্দিন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজির চেয়ারম্যান আহসান হাবীব, বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট কে এম হাসান রিপন, উদ্যোক্তা এবং ই-কমার্স ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওয়ালিউর রহমান, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অফ কমার্সের পরিচালক সাহেলা আবেদিন, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নওমি, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম নেতৃবৃন্দ কাজী রাশেদুল ইসলাম, কাজী জাহিদ প্রমুখ।
এছাড়াও দেশের বাইরে থেকে অতিথি আলোচক হিসেবে সংযুক্ত হন আজারবাইজানের ডাব্লিউএফও এর প্রতিনিধি খাদিজা আহমাদোভা, ভারতের তরুণ উদ্যোক্তা আসিফ আব্দুল্লাহ।
বর্তমানে প্রায় সবকিছুতেই আমাদের অনলাইনের উপর নির্ভরশীলতা চলে এসেছে উল্লেখ করে সৈয়দ মাহমুদুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় মানুষ নগর বিমুখ হয়ে পড়েছে। এই সময়টা কৃষিতে ব্যবহার করলে অনেক সুযোগ রয়েছে ভবিষ্যতে। বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ ফ্রিল্যান্সার বর্তমানে সক্রিয় এবং তারা বেশ ভালোই আয় করছে। এভাবে তরুণরা উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠছে ফলে তারা আর চাকরির পিছনে ছুটছে না।
অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সিকান্দার খান বলেন, বর্তমান উদ্যোক্তারা ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি বেশি আকৃষ্ট। কিন্তুু আমাদের সমাজে সামাজিক উদ্যোক্তা বেশি প্রয়োজন যারা সমাজের সর্বস্তরে সহযোগিতা করতে পারে। অর্থনীতিতে করোনার ভয়াল থাবা মোকাবিলা করে আমাদের আর পিছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই, সামনে এগিয়ে যেতে হবে। এটাই তরুণ উদ্যোক্তাদের কাছে প্রত্যাশা বলে জানান তিনি।
শামস মাহমুদ বলেন, বর্তমান উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন প্লাটফর্ম, ই-কমার্স আশীর্বাদস্বরূপ হয়ে এসেছে। উদ্যোক্তাদের প্রয়োজন পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনার সাথে এই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে কাজে লাগিয়ে আরো এগিয়ে যাওয়া। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাবে স্নাতক ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছে। এই তরুণ শিক্ষার্থীদের নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর