সুপ্রভাত ডেস্ক »
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৭০ জন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৯ লাখ ৬১ হাজার ২৩১ জন ছাত্র এবং ৯ লাখ ৬৭ হাজার ৭৩৯ জন ছাত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রথম দিন এসএসসির বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হবে।
এ বছর সারা দেশে তিন হাজার ৭১৫টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে। তবে ২০২৪ সালের তুলনায় এবার প্রায় এক লাখ পরীক্ষার্থী কম। গতবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা হবে। এসএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে ১৩ মে পর্যন্ত। ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে ১৫ থেকে ২২ মে পর্যন্ত।
আজ থেকে পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
আন্ত শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার হলে আসন গ্রহণ করতে হবে।
মুঠোফোনসহ যেকোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে কেউ যাতে প্রশ্নপত্র পাওয়ার চেষ্টা না করে, সে বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সব নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেছে আন্ত শিক্ষা বোর্ড।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব বা ঘটনা, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে গতকাল গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে বলা হয়েছে, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।
এই আদেশ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলার সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রতি ১৪ নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনাগুলো হলো—
১. পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে;
২. প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;৩. প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;
৪. পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিন দিন পূর্বে সংগ্রহ করবে;
৫. শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে;
৬. পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
৭. পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে;
৮. প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না;
৯. কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;
১০. পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে;
১১. কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে মুঠোফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না;
১২. সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে;
১৩. ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে;
১৪. পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।