ফলাফল পেতে শিক্ষার্থীরা মোবাইলে প্রি রিজেস্ট্রেশন করতে পারবে: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক #
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেষ হলো এসএসসি ফলাফল তৈরির কাজ। এবার অপেক্ষা সরকারের নির্দেশনার। সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দিলেই শেষ মুহূর্তের প্রোগ্রামিং করবে বোর্ডগুলো। আর তা করা হলেই বের হয়ে যাবে পরীক্ষায় পাশের হার, বিষয় ভিত্তিক পাশের হারসহ সব ধরনের উপাত্ত পাওয়া যাবে। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ঘোষণা দিয়েছিলেন ঈদের আগে ফলাফল প্রকাশের কথা।
ফলাফল তৈরির অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ বলেন, ‘ফলাফল তৈরির আমাদের সব কাজ সম্পন্ন হয়ে আছে। শুধু ডি কোডিং (ফলাফলের সর্বশেষ ধাপ) বাকি রেখেছি। এটা ফলাফল প্রকাশের তারিখ ঘোষণার পর ফলাফল প্রকাশের আগে করা হয়ে থাকে।’
কবে নাগাদ ফলাফল প্রকাশ করা হবে সেধরনের কোনো ঘোষণা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেধরনের কোনো ঘোষণা এখনো আসেনি। তবে আমরা প্রস্তুত। ঘোষণা এলেই আমরা ডি কোডিং কাজ শেষ করবো।
এদিকে এবারের ফলাফল প্রকাশে নতুন আরেকটি পদ্ধতি যুক্ত হচ্ছে বলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ন চন্দ্র নাথ জানান। তিনি বলেন, ‘এর আগে তিন পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করা হতো। প্রথমত- আমরা স্কুলের ইমেইলে ফলাফল পাঠিয়ে দিতাম, সেখান থেকে প্রিন্ট করে ফলাফল প্রকাশ করতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। দ্বিতীয়ত-শিক্ষার্থীরা তাদের রোল নম্বর দিয়ে অনলাইন থেকে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারতো। তৃতীয়ত- পরীক্ষার্থীরা মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারতো। এবার এই তিন পদ্ধতির সাথে আরেকটি পদ্ধতি যুক্ত হচ্ছে।’
সেই পদ্ধতি কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে শিক্ষার্থীরা তাদের টেলিটক নম্বর থেকে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করবে। এসএমএস লেখার নিয়ম- এসএসসি লিখে স্পেস বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর স্পেস রোল নম্বর স্পেস পরীক্ষার বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে সেন্ড করতে পারবে। এটাকে বলা হয় প্রি রেজিস্ট্রেশন। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পরপরই টেলিটক থেকে এই নম্বরে ফলাফল পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, করোনা লকডাউনের কারণে এবার যথাসময়ে পরীক্ষার ফলাফল তৈরি করা যায়নি। শিক্ষাবোর্ডগুলো বন্ধ থাকায় এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তরপত্র আসতে না পারায় কিছুটা সমস্যায় পড়েছিল বোর্ডগুলো। পরবর্তীতে বিশেষ ব্যবস্থায় গত ৬মে থেকে কাজ শুরু করে বোর্ডগুলো। বিলম্বের কারণে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ যেমন পিছিয়ে গেছে তেমনিভাবে এইচএসসি পরীক্ষাও শুরু হয়নি এখনো। এতে শিক্ষাজটের তৈরি হচ্ছে। আবার এসএসসি ফলাফল প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় প্রতিবছর জুনে যে একাদশ শ্রেণীর ক্লাশ হয় তাতেও না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ ফলাফল প্রকাশের পর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু ও শেষ হতে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে থাকে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল।