সুপ্রভাত ডেস্ক »
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) বাস্তবায়ন করা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড প্রকল্পে দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য প্রথমবারের মতো সিডিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদকের টিম।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে দুই প্রকল্পের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন দুদকের কর্মকর্তারা।
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লালখানবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও সাগরিকা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আউটার রিং রোড প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল দুদকের কাছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগে ফাটল, প্রয়োজনের অতিরিক্ত র্যাম্প, রেলিং, নাট-বল্টু ঠিকমতো না লাগানো, প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা হয়েছে- এ ধরনের অভিযোগ ছিল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্ষেত্রে।
আর সাগরিকা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আউটার রিং রোড প্রকল্পে সিডিএর আট কর্মকর্তা অতিরিক্ত ভাতা নেওয়ার অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রধান কার্যালয় থেকে সিডিএতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য বলা হয়েছিল। অভিযোগ মূলত দুটি প্রকল্পে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের। এটার নির্মাণ কাজে অনিয়ম, বিশেষ করে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগে যেখানে সেখানে ফাটল দেখা যাচ্ছে। যেখানে সেখানে র্যাম্প করা হয়েছে। রেলিং এ ঠিকভাবে নাট-বল্টু লাগানো হয়নি। প্রয়োজনের বেশি অর্থ এখানে ব্যয় করা হয়েছে। এ ধরনের বেশকিছু অভিযোগ আমাদের কাছে ছিল।’