নিজস্ব প্রতিবেদক »
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ দেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন। এ সময় তিনি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী-সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে এবং পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালের (পিসিটি) মতো উল্লেখযোগ্য প্রকল্পসহ চট্টগ্রামের মোট ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় গণভবনের সঙ্গে ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সারাদেশে ১০১টি প্রান্তে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত ছিল।
এ উপলক্ষে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে মঞ্চ করে প্রধানমন্ত্রীর সভার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এতে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. ইসমাইল খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আনোয়ার পাশা, জেলা পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর দেয়া প্রকল্পগুলো হচ্ছে- লালখান বাজার হতে শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী সিডিএ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, ‘বে-টার্মিনাল’ শীর্ষক প্রকল্প পিপিপি প্রকল্প, এশিয়ান ইউনিভার্র্সিটি ফর উইমেন এর বহিঃসীমানা দিয়ে লুপ রোড নির্মাণসহ ঢাকা ট্রাংক রোড হতে বায়েজিদ বোস্তামী রোড পর্যন্ত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সড়ক নির্মাণ, সিরাজউদ্দোলা রোড হতে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক পর্যন্ত জানে আলম সড়ক নির্মাণ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, আনোয়ারা-ফৌজদারহাট গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ, চট্টগ্রাম-ফেনী বাখরাবাদ গ্যাস সঞ্চালন সমান্তরাল পাইপ লাইন নির্মাণ, মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল-এর জন্য গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ও কেজিডিসিএল গ্যাস বিতরণ নেটওয়ার্ক আপগ্রেডেশন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়ক (এন-০১) এর ২৫২তম কিলোমিটারে মুরালী খালের উপর ১২১ মিটার দীর্ঘ ভেল্লাপাড়া সেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সিজিএস কলোনিতে জরাজীর্ণ ১১টি ভবনের স্থলে ৯টি বহুতল আবাসিক ভবনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৬৮৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণ, চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমিটরি ভবন নির্মাণ (বিভিন্ন সংখ্যক তলাবিশিষ্ট ১৫টি ভবন) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪টি ভবনে ১৬০টি ফ্ল্যাট ও ৬৪টি ডরমিটরি, সমাজসেবা কমপ্লেক্স নির্মাণ, নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমূহের উন্নয়ন, নির্বাচিত মাদ্রাসা সমূহের উন্নয়ন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ এবং মিরসরাই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নে আমান উল্লাহ ভূঁইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক (ওয়ার্ড নম্বর-১) নির্মাণকাজ।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে দেশে ১১ জেলার সাত উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দেশের ৩২টি জেলা ও ৩৯৪টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হলো বলেও জানান তিনি।
৪র্থ পর্যায়ে চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ মোট ২৬৭টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন। একইসাথে বাঁশখালী, ফটিকছড়ি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।