সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে গতি আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। বিলাসী পণ্য এবং দেশেই উৎপাদিত পণ্য ছাড়া অন্যান্য সব ধরনের আমদানিতে লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) মার্জিন তুলে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে এ কথা জানানো হয়েছে। তফসিলভুক্ত সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে এ সার্কুলার পাঠানো হয়েছে।
এখন থেকে ব্যবসায়ীরা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো এলসি ছাড়াই সব ধরনের মূলধনি যন্ত্রপাতি, ভোগ্যপণ্য ও কাঁচামাল আমদানি করতে পারবেন।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, ‘বিদেশি মুদ্রার বিনিময় হার ও লেনদেন ক্রমেই স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য-শিল্পে গতি আনতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হলো।’
এখন থেকে ব্যবসায়ীরা সকল ধরনের মূলধনী যন্ত্রপাতি, ভোক্তা পণ্য, মূলধনী কাঁচামাল – ব্যাংক ও গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে কোনো ধরণের নগদ মার্জিন ছাড়া আমদানি করতে পারবে।
দেশে মার্কিন ডলার নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ায় ২০২২ সালে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। একাধিক পণ্যের ওপর শতভাগ মার্জিন আরোপের পাশাপাশি ব্যাংক থেকে ঋণসুবিধা প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে আগের মতো বিলাসী কিছু পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র বা এলসি খোলার ক্ষেত্রে শতভাগ টাকা জমা রাখার শর্ত বহাল রাখা হয়েছে।
এসব পণ্য হলো মোটর কার; ইলেকট্রনিক হোম বা অফিস অ্যাপ্লায়েন্স; স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার; মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা; তৈরি পোশাক; চামড়াজাত পণ্য; পাটজাত পণ্য; আসবাব ও সাজসজ্জা সামগ্রী; ফল ও ফুল; নন–সিরিয়াল ফুড অর্থাৎ অ-শস্য খাদ্যপণ্য; প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় বা টিনজাত (ক্যান) খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস; অ্যালকোহলজাতীয় পানীয় এবং তামাক ও তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্য।