চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, সম্প্রতি সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ একটি মহামারি রূপ নিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশেও এর দাপট বৃদ্ধি করেছ। এমতাবস্থায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে আমাদের দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিশেষ করে নগরে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতরা। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় প্রয়োজন সচেতনতা বৃদ্ধি ও সচেতন হওয়ার। এই সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ সরবরাহে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পও ভুমিকা রেখে চলেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়ন প্রকল্প এই পর্যন্ত ৮৪ হাজার পরিবারকে ৫ টি করে প্রায় ৪ লক্ষ ২৩ হাজার সাবান ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে। সেই সাথে হাত ধোয়ার পদ্ধতির বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া দরিদ্র এলাকায় বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য ৩৬৪ সিডিসি ও ২১ টি ওয়ার্ডে ৩৮৪ টি স্থানে হাত ধোয়ার পয়েন্ট স্থাপন করেছে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১ হাজার দিনের জরুরি পুষ্টি খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে। এই কর্মসূচির আওতায় নগরের ১ হাজার ৬৭৪ জন গর্ভবতী মা প্রতিমাসে জরুরি পুষ্টি খাদ্য ডিম, তেল এবং ডাল সহায়তা পেয়ে আসছে।
আজ নগরীর ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডস্থ জহুর আহমদ চৌধুরী সিটি কর্পোরেশন প্রাথমিক স্কুল মাঠে ইউএনডিপি’র অর্থায়নে পরিচালিত এলআইইউপিসি প্রজেক্টের আওতায় বিভিন্ন উপকারভোগীদের মাঝে জরুরি পুষ্টি খাদ্য ও সহায়তা ও সাবান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় কাউন্সিলর মোবারক আলী, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার (ভারপ্রাপ্ত) প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান চৌধুরী, টাউন ফেডারেশনের চেয়ারপার্সন কোহিনুর আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জরুরি খাদ্য সহায়তার জন্য ২১ হাজার মানুষকে মোবাইল একাউন্টে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হবে। এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে গর্ভবতী মায়েদের পুষ্টি খাদ্য সহায়তা মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিতকরণে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মেয়র। বিজ্ঞপ্তি
মহানগর