নিজস্ব প্রতিবেদক »
হাটহাজারী থেকে নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় এসেছেন শরিফুল আলম। পরিবারের জন্য কাপড় কেনা শেষ। পরে ভ্রাম্যমাণ গরম কাপড় ক¤¦লের দোকানে আসেন। কিন্তু এখানে এসে দাম শুনে রীতিমত অবাক তিনি। ফলে খালি হাতেই ফিরে যান। প্রতিটি ক¤¦ল আগের তুলনায় ৩০০-৫০০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ডলারের দাম বেশি হওয়ায় বাড়তি টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে দাবি ব্যবসায়ীদের।
শরিফুল আলম বলেন, ‘ব্যবসার কিছু জিনিসপত্র কিনতে শহরে আসা। পরিবারের জন্য কাপড় কেনা শেষে কম্বলের দোকানে এলাম। আগে ১৫০ টাকা দিয়ে সাধারণ কম্বল পাওয়া যেত। এখন সেই একই কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৩৫০- ৪০০ টাকা। প্রতিটি কম্বলের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। শুধু আমি না আমার মতো অনেকেই এসে ফেরত যাচ্ছেন। আর কিভাবেই বা কিনবে মানুষের এখন টাকা নেই।’
সরেজমিনে গতকাল সোমবার দেখা যায়, নিউমার্কেট এলাকার নুপুর মার্কেটের সামনে, মূল সড়কেই দোকান নিয়ে বসছেন ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা। সেখান নানা খাবার-দাবার, জুতা, ব্যাগের দোকান বসেছে। মাঝখানে ৪-৫ টি কম্বলের দোকান। সেখানে নানা রকমের কম্বলের পশরা।
গত এক সপ্তাহ ধরে তারা এই গরম কাপড় বিক্রি করছেন। এছাড়া জহুর মার্কেটের গলিতে প্রবেশ মুখে আরও ৪-৫টি কাঁথা ও কম্বলের দোকান বসেছে। তবে বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি। দাম শুনেই বেশির ভাগ কাস্টমার ফেরত যাচ্ছেন। সাধারণ কম্বল বর্তমানে ৩৫০-৪০০ টাকা; যা আগে বিক্রি হতো ১৫০-২৫০ টাকা। মাঝারি ধরনের ভারী কম্বল বিক্রি হচ্ছে ১৪ শ থেকে ১৮ শ টাকা যা আগে বিক্রি হতো ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা। এছাড়া ভারী কম্বল আড়াই কেজি হলে তার দাম হাঁকানো হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকা, ৩ কেজি কম্বলের দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩ হাজার টাকা। কম্বলের ওজন যত কেজি বাড়বে দামও তত বাড়বে।
কম্বল ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, আমি এক যুগের বেশি সময় ধরে শীত এলে কম্বল-কাঁথা বিক্রি করি। গত এক সপ্তাহ হলো এই কাপড় বিক্রি করছি। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রথম দুয়েক দিন দিনে ৫-৬ টা বিক্রি করতে পেরেছি। আমাদের প্রায় সকল কাস্টমার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসেন। কিন্ত হরতালের কারণে এখন আসতে পারছেন না। তাই সেভাবে বেচাকেনাও হচ্ছে না।
দাম বাড়তি নিয়ে তিনি আরও বলেন, এখন আলুও ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তাহলে কাপড় কিভাবে কম দামে পাবেন। এসব কাপড় বাইরে থেকে আসে। এখন ডলারের সংকট, যার কারণে বিরাট অংকের টাকা খরচ করে এসব মালামাল আমাদের কাছে আসে। যার কারণে আমাদেরও বাড়তি টাকায় কিনতে এবং বিক্রি করতে হচ্ছে। আমাদের কিছু করার নেই।’