সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
বিপিএলকে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ লিগ হিসেবে দেখতে চান অ্যালেক্স মার্শাল। আইসিসির সাবেক এই দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তা এখন বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান। বিপিএল শুরুর আগে বৃহস্পতিবার দীর্ঘ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন, বিপিএলকে কলুষতা মুক্ত করতে কতটা আন্তরিক তিনি। সংবাদ সম্মেলনে মার্শাল বলেন, ‘বিপিএল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হওয়া উচিৎ। সেরা ক্রিকেটারদের বিপিএলে আকৃষ্ট করা উচিৎ। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও উন্নত করা উচিৎ যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শীর্ষ পর্যায়ে খেলবে। আমার ভাবনা এমনটাই। আমি যখন কাজ করি, অনুভব করি বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য কাজ করছি। তারাই আমার কাস্টমার। যারা উঁচু মানের, স্বচ্ছ টুর্নামেন্ট চান।’
দেশের ক্রিকেটের সমর্থকদের কথা মাথায় রেখেই বিপিএলের আগে কিছু কঠোরতা দেখাতে হয়েছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে ছিল ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনদের বিপিএল থেকে সরিয়ে রাখা। তিনি বলেন, ‘এজন্যই কিছু উদ্যোগ নিতে হয়েছে, যাতে বিপিএল এবার ক্লিন ইভেন্ট হয়ে থাকে। এটা আমাদের সবাইকেই মেনে নিতে হবে, যেহেতু অতীতে অনেক নেতিবাচক বিষয় ছিল। বোর্ড সভাপতির মাধ্যমে স্বাধীন তদন্ত কমিটি আমাকে গত মাসে ৯০০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। এর মধ্যে ৬০ জন হয় অভিযুক্ত না হয় সন্দেহভাজন। এখন আমার নতুন দল এটা নিয়ে কাজ করছে।’ সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রেখে তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পেশাদারিত্ব এবং গোপনীয়তাকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। অতীতে দেখা গেছে সন্দেহভাজনদের সাথে কী কথা হচ্ছে সব গণমাধ্যমে চলে আসতো। সাংবাদিকরা তো এসব খবর বের করতে চাইবেই। তবে আমার জন্য এসব ভীষণ গোপন এবং নতুন ইউনিট প্রথম কয়েক সপ্তাহে সব কিছু দারুণভাবে করেছে, গণমাধ্যমের সংস্পর্শে আসেনি কিছুই।’ এবারের বিপিএলে মেনে চলা হবে জিরো টলারেন্স নীতি। নিয়ম না মানলে তিনি যে-ই হোন না কেন বাদ দিয়ে দিতে পিছবা হবে না দুর্নীতি দমন ইউনিট।
অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘খেলা চলাকালে মুঠোফোন ব্যবহারের কোনো নিয়ম নেই। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, যেমন ডাক্তারের মেডিকেল ইমারজেন্সির জন্য লাগবে, মিডিয়া ম্যানেজারের লাগবে, টিম ম্যানেজারের লাগতে পারে, তবে সেসব সামাজিক যোগাযোগের জন্য নয় কিন্তু। আমরা দেখেছি অতীতে এসব নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে। ভেতরে-বাইরে যোগাযোগ হতো। এতে অবৈধ কাজে ভেতরের তথ্যাধি ব্যবহৃত হতো পারে।’
‘আপনি যতই খ্যাতিমান বা ক্ষমতাধর হন না কেন কেউ এখন নিয়ম ভাঙলেই তার এক্রিডিটেশন বাতিল করা হবে এবং বিপিএলের বাকি অংশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। কঠোরভাবে এটা প্রয়োগ করা হবে। সবাই এন্টি করাপশন কোড দেখে নেবেন ভালো করে।’


















































