সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাঠ প্রশাসনে গত দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাপক রদবদল হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার ইনকাম ট্যাক্স, ভ্যাট ও কাস্টমসের ২৯ জন কমিশনারকে বদলি করা হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার উপ কমিশনার ও সহকারী কমিশনার পদে দায়িত্ব পালনকারী ১৬০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।
এর আগে কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও যুগ্ম কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে গত তিন সপ্তাহে বদলি করা হয়েছে।
এনবিআরের বদলি স্বাভাবিক বিষয় হলেও এবার বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে এবং বদলির আদেশ যাচাই করে দেখা গেছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন প্রজেক্টে পূর্ণকালীন সংযুক্তি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কর্মকর্তারা বলছেন, এসব দায়িত্বে সাধারণত এক-দুজন কর্মকর্তার কাজ থাকে, যেখানে ১০ থেকে ১৫ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের সাম্প্রতিক আন্দোলনে সামনের সারিতে থাকা এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘সাধারনত প্রজেক্টে এক বা দুজন কর্মকর্তার কাজ থাকে। মাসে হয়তো দু্ই-একটা মিটিং হয়, ছোট-খাটো কাজ থাকে। কিন্তু এসব প্রজেক্টে এত বেশি সংখ্যক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া মানে তাদের কোনো কাজ নেই। তাদের অনেকটা বসিয়ে রাখার মতো।’
অবশ্য মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছিলেন, ‘আন্দোলনে যুক্ত থাকার কারণে কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যারা সরকারি বদলির আদেশ গণমাধ্যমের সামনে ছিঁড়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন ৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হলেও আন্দোলনকারী কর্মকর্তারা ওই আদেশকে প্রতিহিংসামূলক আখ্যা দিয়ে কপিটি ছিঁড়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেন। এ কারণে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।