নিজস্ব প্রতিবেদক »
ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো প্রাধান্য দিয়েছে সুতি কাপড়কে। রমজান শুরু হয়ে গেলেও দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর কেনাকাটা এখনো জমে উঠেনি।
নগরীর প্রবর্তক মোড় সংলগ্ন আফমি প্লাজার দেশী-দশ ফ্যাশন হাউস ঘুরে দেখা যায়, ১০টি দেশীয় ফ্যাশন হাউসই ক্রেতাদের জন্য নতুন জামা-কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে। ফ্যাশন হাউসগুলো হলো নিপুণ, অঞ্জনস, বাংলার মেলা, বিবিয়ানা, নগরদোলা, কে-ক্রাফ্ট, রঙ বাংলাদেশ, সাদাকালো, দেশাল ও সৃষ্টি।
আসন্ন ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ডিজাইনের দেশীয় জামা-কাপড় ভরে গেছে আউটলেটগুলো। শাড়ি-পাঞ্জাবি মূল আকর্ষণ হলেও এসব হাউসে থাকছে ছেলেদের ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট এবং মেয়েদের সেলোয়ার-কামিজ, ওয়ান-পিস, টু-পিস,টপস্, কাফতান। এছাড়া আছে বাচ্চাদের পাঞ্জাবি ,ফতুয়া, শার্ট-প্যান্ট, স্কার্ট, ফ্রক, সেলোয়ারÑকামিজ, শাড়ি। এসব জামা কাপড়ে ব্লক, প্রিন্ট, এপ্লিক, কাঁথাস্টিচ ইত্যাদি মটিফকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি প্রতি দাম রাখা হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফতুয়া ৭’শ থেকে ১৫’শ টাকা। শাড়ির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২’শ থেকে ২৬ হাজার টাকা। জামদানি, মসলিনের কাপড়ে ডিজাইন করা শাড়িগুলোরই দাম বেশি। এছাড়া আছে সিল্ক, পানচুরির মতো কাপড়ের শাড়িও। সুতির শাড়িগুলোরই তুলনামূলক দাম কম। শাড়ি ছাড়াও মেয়েদের স্টিচ-আনস্টিচ সেলোয়ার কামিজের দাম থাকছে ১৭৯০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। ওয়ান পিস, টু-পিসের দাম রাখা ১২’শ থেকে ২৫’শ টাকা। বাচ্চাদের জামা-কাপড়ের দাম রাখা হচ্ছে ১২’শ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। জামা-কাপড়ের পাশাপাশি থাকছে বিভিন্ন রকম হ্যান্ডি ক্যাফ্ট জুয়েলারি, জুতা, ব্যাগ ইত্যাদি।
এছাড়া থাকছে শতরঞ্জি, ফুলদানির মতো ঘর সাজানোর জিনিসপত্র। তবে প্রতিটি পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে ক্রেতাদের জন্য এতসব আয়োজন থাকলেও দেশীয় এসব ফ্যাশন হাউসে ক্রেতার সংখ্যা খুবই নগন্য । অলস সময় কাটাতে দেখা যায় হাউসগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।
এ সম্পর্কে রঙ বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘রমজান আসার আগে আমাদের ক্রেতার সংখ্যা বেশি ছিলো কিন্তু রমজান আসার পর কেন জানি আমাদের ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে। হতে পারে মাত্র রমজান শুরু হওয়াতে কেনাকাটা শুরু করছেন না। মাসের শেষ সময় হওয়াতে কেনাকাটা আগামী মাসে করবেন।’
দেশী-দশের এডমিনের দায়িত্বে থাকা তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘ প্রতি বছর এসব দেশীয় ডিজাইনের দেশীয় পোশাক অনেক বেশি বিক্রি হতো কিন্তু গত দুই বছর যাবৎ বিক্রিটা কমে গেছে।’
নুজহাত নাদিরা নামে একজন ক্রেতা বলেন,‘ আসলে ঈদে সবাই জাঁকজমকপূর্ণ পোশাকই পরতে পছন্দ করে। বুটিকের পোশাকগুলো টেকসই এবং আরামদায়ক। সবসময় পরা যায়। কিন্তু জাকঁজমকপূর্ণ তেমন একটা হয় না। তাই সবাই ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ইম্পোর্টেড পোশাকগুলো পছন্দ করে। দেশীয় পোশাকগুলো জাতীয় উৎসবগুলোর জন্য বেশি মানানসই। পহেলা বৈশাখ রমজানের মাঝে হওয়াতে সেভাবে উদযাপন করা সম্ভব হবে না বিধায় কেবল ঈদের কেনাকাটাই করছি। ’