সুপ্রভাত ডেস্ক »
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে পারেন আরও অন্তত চার জন। মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে। নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার জন্য অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ ও সাবেক সচিব আলী ইমাম মজুমদার ফোন কল পেয়েছেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানও শপথ নিতে পারেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বঙ্গভবনে বিকাল ৪টায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারে। রাষ্ট্রপতি উপদেষ্টাদের শপথবাক্য পড়াবেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে ১৭ জনের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। ৮ আগস্ট শপথ নেন ১৪ জন। পরে বাকি তিন জনও শপথ নিয়েছেন।
গত সোমবার (১২ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান আলী ইমাম মজুমদার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এবার তাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পেয়েছেন ২৭টি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এর মধ্যে রয়েছে- ১. মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ; ২. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়; ৩. সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ; ৪. শিক্ষা মন্ত্রণালয়; ৫. সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়; ৬. খাদ্য মন্ত্রণালয়; ৭. গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; ৮. ভূমি মন্ত্রণালয়; ৯. বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়; ১০. কৃষি মন্ত্রণালয়; ১১. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; ১২. রেলপথ মন্ত্রণালয়; ১৩. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; ১৪. বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৫. নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়; ১৬. পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়; ১৭. মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ১৮. দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়; ১৯. তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়; ২০. প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়; ২২. শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়; ২৩. সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৪. বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়; ২৫. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৬. পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ২৭. প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহ উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; আসিফ নজরুল পেয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আদিলুর রহমান খান পেয়েছেন শিল্প মন্ত্রণালয়; হাসান আরিফ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; মো. তৌহিদ হোসেন পেয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; শারমীন এস মুরশিদ পেয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়; ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন পেয়েছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; ফরিদা আখতার পেয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়; নুরজাহান বেগম পেয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়; মো. নাহিদ ইসলাম পেয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়; আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া পেয়েছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
পরে শপথ নেওয়া সুপ্রদীপ চাকমা পেয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়; বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার পেয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়; ফারুক ই আজম পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।