বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জাতিসংঘসহ বিশ্বে বিভিন্ন দেশের সরকার ও মানবাধিকার সংগঠন আওয়ামী লীগ সরকারের ভোটচুরি, দমন-পীড়ন ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি গতকাল বিকালে নগরীর নাসিমন ভবন বিএনপি অফিসের সামনের মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, সরকার উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। রিজার্ভ সংকটের কারণে সরকার আইএমএফ থেকে ঋণ গ্রহণের শর্ত হিসেবে বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। সরকার দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার জন্য যে সমস্ত লোক দেখানো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে তা জনগণের জন্য এক সময় বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়াবে।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভোটচুরি করে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবারো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার নীলনকশা করেছে, কিন্তু আমরা এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেব না। এ সরকারের অধীনে কোন পাতানো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেব না।
তিনি বলেন, জনগণ আর কোন ফাঁদে পা দেবে না। গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের ক্ষমতা জনগণকে ফিরিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।
আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য অবাধ গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, ভোটাধিকার, অন্ন, বস্ত্র ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা। আওয়ামী লীগ মানুষের এইসব মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তিনি বলেন, জীবন সায়াহ্নে এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এখন অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আরেকটি সংগ্রামের চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। তিনি দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে ’৭১ এর মত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য সাথী উদয় কুমার বড়–য়া, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাবুদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি