বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান যেসব প্রকল্পের অগ্রগতি কম তা দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে হবে। প্রকল্প কাজে অহেতুক ঢিলেমি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরো সক্রিয় হতে হবে।
তিনি গতকাল সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সমন্বয় সভায় বিভাগের সরকারি উন্নয়ন কার্যক্রম ও অগ্রগতি তুলে ধরা হয় বিধায় এ সভার সময় আরো বাড়াতে হবে। কেননা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলের কথা শুনতে হবে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে নেওয়া প্রকল্পগুলো সংশ্লিষ্টদের খামখেয়ালির কারণে যেন কোনভাবেই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ড. জ্যোতি প্রকাশ দত্তের সঞ্চালনায় সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার জেলা প্রশাসক, সিটি করপোরেশনসমূহের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য বিভাগ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের বিভাগীয় প্রধানগণ নিজ নিজ দপ্তরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি,বর্তমান অবস্থা সমস্যা ও করণীয় তুলে ধরেন।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক সভায় জানান, ঘুর্ণিঝড় মোখা পরবর্তী উপকুলীয় টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে সরকারের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমুহের মাঝে ইতোমধ্যে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে। আরো বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা, শিপ মালিক সমিতি, হোটেল মোটেল মালিক সমিতি প্রভৃতি সংগঠন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জেলা প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কাজ করছে।
সভায় সরকারি কর্মকর্তাগণ কোন কোন প্রকল্পে আন্তঃমন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের প্রয়োজন বিধায় সেসব বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের আরো হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিজ্ঞপ্তি