উদ্ধার হচ্ছে জামালখান খালের অবৈধ দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের লাভলেন স্মরণিকা কমিউনিটি সেন্টারের পাশ থেকে জামালখান এবং সিরাজউদ্দৌলা রোড হয়ে চাক্তাই খালে যুক্ত হওয়া দুই কিলোমিটারের বেশি দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট জামালখান খাল। খালটির বেশির ভাগ অংশই ইতোমধ্যে দখল হয়ে গেছে। ভোগ দখলের কারণে একসময়কার ব্যস্ততম খালটি এখন বিলুপ্তির পথে। দখলের ফলে পানির স্রোত নেই খালটিতে। যার কারণে ময়লা-অবর্জনা জমে বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসনে খালটি উদ্ধারে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।
সরেজমিনে খালটির বিভিন্ন অংশে ঘুরে দেখা যায়, ২০ ফুট চওড়া খালটির কোথাও ৮ ফুট, কোথাও ১০ ফুট অবশিষ্ট আছে। খালটির উভয় পাশে পার দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বাণিজ্যিক ভবন ও আবাসিক স্থাপনা। ইতিমধ্যে খালের জায়গা দখল করে গড়ে ওঠা দালানগুলোতে লাল রঙ দিয়ে চিহ্ন দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় দেয়াল, পিলার ভেঙে খালের জায়গা উচ্ছেদ করেছে সিডিএ। এছাড়া কিছু দালান মালিকের নিজ উদ্যোগে দখলকৃত স্থান ভাঙার প্রস্তুতি চলছে।
গত বৃহস্পতিবার জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৪০টি বহুতল ভবনের দখলকৃত অংশ উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্যে বহু ভবনেরই নিচতলা ভেঙে দেয়া হয়েছে। উপরের দিকে ভবন মালিকেরা নিজ উদ্যোগে ভাঙার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এতে ১৬তলা, ১০তলা ও ১২তলা ভবন রয়েছে। রয়েছে অনেকগুলো আবাসিক ফ্ল্যাট। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) তাহমিনা আফরোজ চৌধুরীর নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই পর্যন্ত নগরের ৩৬টি খালের পার থেকে তিন হাজারেরও বেশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানায় সিডিএ কর্তৃপক্ষ।
উচ্ছেদ সীমানায় পড়া জামালখানের কাচ্ছি ডাইন এর ম্যানেজার নুরুল আলম বাদশা জানান, আমাদের ভবনের মালিক দেশের বাইরে থাকেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। কাল (রোববার) থেকে অংশটি উচ্ছেদের জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও নির্বাহী প্রকৌশলী আহমদ মঈনুদ্দিন জানান, খাল উদ্ধারে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। বৃহস্পতিবার আমরা অনেকগুলো ভবন ভেঙে দিয়েছি। শুক্রবার আমরা ভাঙা শুরু করলে বাসিন্দাদের অনেকেই সময় চান। তারা নিজেরাই ভবন ভেঙে খালের জায়গা খালি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যারা ভেঙে জায়গা পরিষ্কার করে দেবেন তাদের আমরা কয়েকদিন সময় দেবো। তবে আগামীকালের (রোববার) মধ্যে যারা নিজ উদ্যোগে ভাঙার কাজ শুরু করবে না সেগুলো আমরা ভেঙে ফেলব।