গুয়াহাটি থেকে আগরতলা হয়ে বিমান যাবে কক্সবাজার
সুপ্রভাত ডেস্ক »
ভারতের আসাম রাজ্যের গভর্নর জগদীশ মুখী ও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৈঠকে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব ও গুয়াহাটি থেকে আগরতলা হয়ে কক্সবাজার বিমান চলাচল শুরুর বিষয় নিয়ে আলোচনায় হয়।
বৈঠকে তারা আসামের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সড়ক, রেল, নৌ ও বিমান চতুর্মুখী যোগাযোগ উন্নয়নে বাস্তব পদক্ষেপ নিয়ে ফলপ্রসু আলোচনা করেছেন।
ত্রিপুরা ও আসাম সফররত ড. হাছান মাহমুদ বৃহস্পতিবার অপরাহ্নে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে ও পরে গভর্নরের ‘রাজ ভবনে তাদের সাথে পৃথক সাক্ষাতে মিলিত হন।
আসামের গভর্ণর অধ্যাপক জগদীশ মুখী ও ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের সাথে আসামের ঘনিষ্ঠতম সম্পর্কের লক্ষ্যে পারস্পরিক যাতায়াত, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড ও বাণিজ্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করেন। একইসাথে ক্রমবর্ধমান শিল্পায়ন ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সবুজ বনায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
এর আগে তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সাথে বৈঠক করেন। নৌপথে বাণিজ্য সুগম করতে নাব্যতাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পর্যটন প্রসারে ঢাকা-গুয়াহাটি সরাসরি বিমান চলাচল পুণরায় চালু করা এবং গুয়াহাটি থেকে আগরতলা হয়ে কক্সবাজার বিমান চলাচল শুরুর বিষয় নিয়ে আলোচনায় হয়।
বাংলাদেশ ও আসামের জনযোগাযোগ বৃদ্ধিকল্পে আসামের ঐতিহ্যবাহী বিশাল রেলপথ নেটওয়ার্র্কের সাথে বাংলাদেশের সংযোগ সাধন ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। স্থল বন্দরগুলোকে আরো কার্যকর করতে অবকাঠামো সংস্কার এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানি বিধি যুগোপযোগী করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন তারা।
এ সময় বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আসাম রাজ্য সরকার বিশেষ সংর্ধনার জন্য আমন্ত্রণ জানাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গভর্ণর ও মুখ্যমন্ত্রী দু’জনেই বৈঠক শেষে টুইট করেছেন। গভর্ণর তার টুইট বার্তায় লিখেছেন, বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষকরে সবুজ বনায়ন ও পরিবেশ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ সাক্ষাতকে আনন্দের বর্ণনা করে টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাথে আসামের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যগত সম্পর্ককে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে গভীরতর করার প্রয়োজন রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর উত্তর-পূর্ব ভারতের জলপথকে সুগম করার চাবিকাঠি। এ বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ।’
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম ও সাইমুম সরওয়ার কমল, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, দিল্লিতে নিযুক্ত উপ-হাইকমিশনার নূরাল ইসলাম এবং গুয়াহাটিতে সহকারি হাইকমিশনার ড. শাহ মোহাম্মদ তানভীর মনসুর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর আগে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে’র সাথে বৈঠক করেন। তিনি আগরতলা ও গুয়াহাটিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব ও আসামের ডাউন টাউন বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশের সহকারি হাইকমিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার ও জামদানী বিতান উদ্বোধন করেছেন।
সূত্র : বাসস