নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
উখিয়ায় করোনা রোগীদের জন্য ১৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার ও বিশেষায়িত হাসপাতাল উদ্বোধন হয়েছে। ইউএনএইচসিআর, ব্র্যাক ও রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস থেকে দেশের সর্বসত্মরের জনগোষ্ঠীকে বাঁচাতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। উপজেলা ভিত্তিক আইসোলেশন সেন্টার চালু করা হয়েছে। ১৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালের মাধ্যমে মানুষের সেবা প্রাপ্তি অনেকটা নিশ্চিত হবে।
উপজেলার উখিয়া কলেজের দক্ষিণ পার্শ্বে প্রায় ৩ একর জমির উপর কক্সবাজার- টেকনাফ সড়কের সামান্য ভেতরে এই কোভিড হাসপাতালটির নির্মাণ হয়েছে।
কোভিড হাসপাতালের অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইউএনএইচসিআর-এর কক্সবাজার অফিসের হেড অব অপারেশন ইনাকু টুকি, কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, আরআরআরসি অফিসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারম্নজ্জামান চৌধুরী, ওসি মর্জিনা আকতার মর্জু, উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রঞ্জন বড়ুয়া রাজন, রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ মার্চ আইসোলেশন হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছিল। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাই কমিশন (ইউএনএইচসিআর) এর অর্থায়নে এই বৃহৎ আকারের আধুনিক করোনা আইসোলেশন হাসপাতালটি নির্মিত হয়েছে।
মূলতঃ ১৫০ বেডের এই হাসপাতালে ২০০ বেডের চিকিৎসা সেবার ফ্যাসিলিটি থাকবে।
জানা গেছে, গত ১৯ মে ১৫০ জনের মেডিক্যাল টিম কক্সবাজার এসে পৌঁছে। তাদেরকে হাসপাতালটি ২০ মে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন হাসপাতালে ট্রায়াল ব্যপনা কাজ করছেন। প্রতিদিন ৩ শিফটে ৫০ জন করে চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান, মিডওয়াইফ, ক্লিনার, আয়াসহ ও অন্যান্য স্বাস’্যকর্মী কোভিড হাসপাতালটিতে ডিউটি করবেন। ১৫০ জনের মেডিক্যাল টিম ও সংশিস্নষ্ট আরো ১৫ জনসহ মোট ১৬৫ জনের থাকার জন্য আবাসিক ব্যবস্থা হিসেবে উখিয়ার ইনানীতে একটি বড় হোটেল ভাড়া করা হয়েছে। ২টি বাস ও ২টি আধুনিক মডেলের মাইক্রোবাস তাদের যাতায়াতের জন্য রাখা হয়েছে।
উখিয়ার কোভিড হাসপাতালটিতে সবসময় ৩টি অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। ২টি অ্যাম্বুলেন্স অভ্যন্তরীণ রোগী আনা নেওয়া করবে। অপর অ্যাম্বুলেন্সটি চট্টগ্রাম, ঢাকা সহ দূরে কোথাও রোগী রেফার করা হলে সেখানে রোগী নিয়ে যাবে।
এই কোভিড হাসপাতালটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় নাগরিকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। কিন’ রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের অভ্যন্তরে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য ১১টি পৃথক পয়েন্টে নির্মিত হচ্ছে, ১৯ শ বেডের কোভিড আইসোলেশন হাসপাতাল। তারমধ্যে ৮০০ বেডের হাসপাতালের নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট আইসোলেশন হাসপাতাল গুলোর নির্মাণ কাজও আগামী ১০ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
যেসব রোগীর স্যাম্পল টেস্টের রিপোর্ট ২২মে ‘পজেটিভ’ আসবে শুধু সেসব রোগীদের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সেখানে ভর্তি করা হবে।