নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আবারও রোহিঙ্গা মাঝি খুনের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালংয়ের ১-পশ্চিম নম্বর ক্যাম্পের এ/৯ ব্লকে ছুরিকাঘাতে এবাদুল্লাহ নামে এক কমিউনিটি নেতা (সাব মাঝি) নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ছয় মাসে ১৭ রোহিঙ্গা মাঝিসহ ৫১ জন খুন হলো।
এর আগেও একাধিক ক্যাম্প নেতা, উপ-নেতা ও সাধারণ রোহিঙ্গা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসাসহ নানা অনৈতিক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে এসব হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরাই ক্যাম্পে খুনাখুনি করে চলেছে।
পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১১ জন আরসার সদস্য, একজন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্য ব্যক্তিরা সাধারণ রোহিঙ্গা।
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১৮) এইচ-৫৯ ব্লকে আশিক এলাহী (২৩) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণকে হাত-পা বেঁধে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়।
আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে আরসার সন্ত্রাসীরা আশিককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। এর আগে ১৯ জুন সকালে উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ) মিয়ানমারের সশস্ত্র দুটি গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় ইমাম হোসেন (১৫) নামের আরেক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন মোহাম্মদ নুর (৪৭) নামের আরেক রোহিঙ্গা।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছুরিকাঘাতে এবাদুল্লাহর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কী কারণে এই হত্যাকা-, তা জানা যায়নি। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে।