সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঈদুল আজহার দিন বিকেল ৫টার মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করে নগরীতে পরিচ্ছন্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরী মিলিয়ে এবার সাড়ে আট লাখ থেকে পৌনে ৯ লাখ পশু কোরবানির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে ৫ লাখ ২৬ হাজারের মতো গরু, ৭০ হাজার মহিষ এবং বাকিগুলো ছাগল ও ভেড়া।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আজিজ আহমেদ জানিয়েছেন, নগরীতে এবার আট থেকে ৯ হাজার মেট্রিকটন কোরবানির বর্জ্য অপসারণের টার্গেট নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। বর্জ্য অপসারণের জন্য নগরীর ৪১ ওয়ার্ডকে সাতটি জোনে ভাগ করা হয়েছে। সাতটি জোনে সাতটি পানির ভাউজার থাকবে রক্ত পরিস্কার করার জন্য।
পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মীদের ঈদের আগের দিনসহ তিনদিনের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোনো কর্মী অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সসহ মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সকাল ৮টা থেকে পাড়া-মহল্লার অলিগলি থেকে কোরবানির বর্জ্য ও পুরনো খড়কুটোসহ বিভিন্ন আবর্জনা সংগ্রহ শুরু হবে। সেগুলো মূল সড়কে নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখা হবে। সকাল ৯টা থেকে ট্রাকে করে বর্জ্য আবর্জনাগারে নিয়ে যাবার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে শহরকে পরিচ্ছন্ন করা হবে।’
৩২২টি গাড়ি নিয়ে চসিকের নিজস্ব শ্রমিকসহ ৪১০০ কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন। নিজ নিজ ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারক করবেন। নগরীর উত্তর-দক্ষিণের ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হবে আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে। পতেঙ্গা-বন্দর এলাকার বাকি ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য ফেলা হবে হালিশহরে আবর্জনাগারে।
বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য দামপাড়া অফিসে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) বর্জ্য অপসারণের সর্বশেষ প্রস্তুতি দেখতে নগরীর আরেফিননগর এলাকায় আবর্জনাগারে যান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
প্রস্তুতি দেখতে নগরীর আরেফিননগর যান সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।