ইসিতে জরুরি তথ্য চেয়ে চিঠি নির্বাচন তদন্ত কমিশনের

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিগত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওঠা অভিযোগগুলো তদন্ত করতে গঠিত কমিশন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে। এই কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে ভবিষ্যতে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য সুপারিশ তৈরি করা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ২৯ জুলাই একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এই কমিশন গঠন করে।

চিঠি জানানো হয়, নির্বাচন তদন্ত কমিশন আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে এই তদন্তে লজিস্টিক এবং তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। গত ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত তদন্ত কমিশনের এক সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় জরুরি ভিত্তিতে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে।

এই তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে এবং সময় মতো শেষ করার জন্য কমিশন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়কে জরুরি ভিত্তিতে এসব তথ্য সরবরাহ করার অনুরোধ জানিয়েছে। এটি একটি অত্যন্ত জরুরি বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে—

১. নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ/পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত দলিল।

ক. সীমানা নির্ধারণের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের নাম ও ফোন নম্বর।
খ. সভার কার্যবিবরণী।
গ. সব পর্যায়ে উপস্থাপিত খসড়া প্রস্তাব।
ঘ. এতদসংক্রান্ত কমিশন সভার কার্যবিবরণী এবং ফাইল নোট।
ঙ. আপত্তির তালিকা এবং এগুলো নিষ্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিল।
চ. জিআইএস তথ্য।
ছ. চূড়ান্ত প্রকাশিত তালিকা।
জ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

২. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং অন্যান্য আইনে/বিধিমালায় পরিবর্তন/সংশোধন/বিয়োজন সংক্রান্ত দলিল।

ক. আইনে যেসব পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছিল তার বিবরণ।
খ. আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো চিঠি এবং এগুলোর উত্তর।
গ. এতদসংক্রান্ত কমিশন সভার কার্যবিবরণী এবং ফাইল নোট।
ঘ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৩. রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত দলিল।

ক. আবেদনকৃত দলের তালিকা।
খ. কমিশন কর্তৃক প্রাথমিক যাচাই-বাছাই প্রতিবেদন।
গ. সরেজমিন অনুসন্ধান প্রতিবেদন।
ঘ.এতদসংক্রান্ত কমিশন সভার কার্যবিবরণী এবং ফাইল নোট।
ঙ. চূড়ান্ত নিবন্ধিত দলের নাম।
৪. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৪. ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা সংক্রান্ত দলিল।

ক. সংশ্লিষ্ট নীতিমালা।
খ. এতদসংক্রান্ত কমিশন সভার কার্যবিবরণী এবং ফাইল নোট।
গ. স্থানীয় পর্যায়ে এতদসংক্রান্ত কার্যক্রমের নথি।
ঘ. ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের তালিকা (এলাকা ও ফোন নম্বরসহ)।
ঙ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৫. ভোট কেন্দ্র নির্বাচন-সংক্রান্ত সলিল।

ক. সংশ্লিষ্ট নীতিমালা।
খ. এতদসংক্রান্ত কমিশন সভার কার্যবিবরণী এবং ফাইল নোট।
গ. স্থানীয় পর্যায়ে এতদসংক্রান্ত কার্যক্রমের নথি।
ঘ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৬. প্রেষণে নিয়োগকৃত কর্মকর্তা সংক্রান্ত দলিল।

ক. প্রেষণে নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের তালিকা।
খ. উক্ত নিয়োগ-সংক্রান্ত নথিসহ যাবতীয় দলিল।
গ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৭. প্রার্থী মনোনয়ন সংক্রান্ত দলিল।

ক. আবেদনকৃত প্রার্থীদের তালিকা।
খ. যাচাই/বাছাই/আপিল প্রক্রিয়া/বাতিল সংক্রান্ত যাবতীয় নথি/কাগজপত্র।
গ. চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।
ঘ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৮. নির্বাচনী প্রশিক্ষণ দলিল।

ক. সব ধরনের প্রশিক্ষণ আয়োজনের সংখ্যা ও এগুলোর ব্যয়।
খ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

৯. ভোট প্রদানের হার দলিল।

ক. কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল বিবরণী।
খ. সার্বিক ফলাফল।
গ. ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৯০-১০০% ফলাফল সংক্রান্ত তথ্য।
ঘ. ২০২৪ সালে কমিশন কর্তৃক ভোটপ্রদানের হার বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাগজপত্র।
ঙ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

১০. নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত দলিল।

ক. নিবন্ধন-সংক্রান্ত যাবতীয় নথি দলিল।
খ. পর্যবেক্ষণ করতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের অবেদন/প্রাসঙ্গিক তথ্য।
গ. চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত পর্যবেক্ষণ তালিকা।
ঘ. পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন।
ঙ. বিদেশিদের সাওয়াত এবং ব্যয় সংক্রান্ত সংক্রান্ত নথি/সলিল।
চ. গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন।
ছ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

১১. নির্বাচনী অভিযোগ সংক্রান্ত দলিল।

ক. দায়েরকৃত অভিযোগসমূহ এবং এগুলোর নিষ্পত্তি।
খ. ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং ব্যয় সংক্রান্ত নথি/দলিল।
গ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

১২. নির্বাচনী নিরাপত্তা সংক্রান্ত দলিল।

ক. নিরাপত্তা-সংক্রান্ত যাবতীয় নধি/দলিল।
খ. এতদসংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়।
গ. অন্যান্য প্রাসঙ্গিক দলিল।

১৩. ইভিএম সংক্রান্ত দলিল।

ক. তৈরি/ক্রয়/বুয়েট/মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি সংক্রান্ত যাবতীয় নথি/দলিল।
খ. এতদসংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয়।