মঙ্গলবার সকালে পরপর তিন দফায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণে তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস। ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামলার ঘটনা ঘটলো। খবর বিবিসি’র।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম ঘটনাস্থলের বর্ণনা দিয়ে জানায়, “যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি কালো ধোঁয়া উড়ছে। সামনের দিকে এগোতেই দেখতে পাই একাধিক ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে।”
সংস্থাটি আরও জানায়, “একটি ভবনের বাইরে একজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি। ভবনের ভেতর ঢোকার পর আমরা একজন নারী ও এক পুরুষকে অচেতন অবস্থায় পাই।”
ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামলায় আহতদের জন্য জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া হামলার পর যারা ভবন থেকে বেরিয়ে এসেছে তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বা আইডিএফ জানিয়েছে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলে সাইরেন বাজছে।
আইডিএফ’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, কিছুক্ষণ আগে ইরানের ভূখণ্ডের দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং এটি প্রতিহত করতে কাজ করছে তারা।
ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা পাওয়ার পর ইসরায়েলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।
এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছিলেন, ইরানের সামরিক অভিযান তেহরান সময় ভোর ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা “সম্পূর্ণ মিথ্যা” দাবি করে প্রতিবেদন করেছে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কোর বা আইআরজিসি’র সাথে সম্পর্কিত ফার্স নিউজ এজেন্সি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র ফার্সকে জানিয়েছে, “ইরান এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পায়নি এবং ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে’ একটি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলের কাছে ঘোষণাটি মিথ্যা বলে প্রমাণ করবে।”
সূত্রটি ফার্সকে আরও জানিয়েছে, দোহায় মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর নিজেদের “অপমান” থেকে “মানুষের দৃষ্টি” সরাতে এই ঘোষণাটি আমেরিকার একটি প্রচেষ্টা।